ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হট্টগোল, ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২ জুলাই ২০১৬

হট্টগোল, ভাংচুর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ যেন রোজ কেয়ামত! তা-বলীলা ... ধ্বংসযজ্ঞ ... গগনবিদারী শব্দ ... চারদিকে ভীতিকর পরিস্থিতি ... কি হয়নি মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে? শুক্রবার ‘গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লীগ’-এ ‘সুপার সিক্স’-এর শেষ ম্যাচটিই যেন হয়ে উঠেছিল অলিখিত ‘ফাইনাল’ ম্যাচ। তাতে মুখোমুখি হয় ঊষা ক্রীড়া চক্র বনাম ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাব। ম্যাচের তখন ১৭ মিনিট। মেরিনার পিছিয়ে ০-২ গোলে। এর কিছুক্ষণ পরেই প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের মৃদু আঘাতে মেরিনারের মোঃ তৌফিক সিরিয়াস ফাউলের শিকার হওয়ার ভান করলে ওমানী আম্পায়ার তাকে সবুজ কার্ড (এই কার্ড দেখলে শাস্তিপ্রাপ্ত খেলোয়াড়কে ২ মিনিটের জন্য মাঠের বাইরে অবস্থান করতে হয়) দেখান। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেনি মেরিনারের খেলোয়াড়রা। খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বসেন তারা। এদিকে মেরিনারের উগ্র সমর্থকরা তো আরও এক কাঠি সরেস! তারা গ্যালারির চেয়ার ভেঙ্গে ছুড়ে মারতে থাকেন টার্ফে। ঘটনাটা এখানেই শেষ নয়। এর কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি হয়ে ওঠে আরও ভয়ঙ্কর। উগ্র সমর্থকরা উঠে আসেন প্রেসবক্সের ঠিক ওপরের তলায়, যেটা ভিআইপি বক্স হিসেবে পরিচিত। সেখানে ঢুকে নির্বিচারে ভাংচুর করে তারা। ভাঙ্গা হয় চেয়ার, সোফা, উইন্ডো গ্লাস। প্রচ- শব্দে প্রেসবক্সে কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের তখন কিংকতর্ব্যবিমূঢ় অবস্থা। ওদিকে জান বাঁচাতে ভিআইপি বক্স থেকে নেমে এসেছেন হকির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক নিজেই! পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন পদক্ষেপই নিতে দেখা যায়নি তাকে। মাঠে উপস্থিত স্বল্পসংখ্যক পুলিশকে দেখা গেছে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে। তা-বলীলা শেষে ভিআইপি বক্সে গিয়ে দেখা গেল ভাংচুরের সরেজমিন চিত্র। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর খেলা যখন আবারও শুরু হয়, ততক্ষণে অপচয় হয়ে গেছে ২০ মিনিট। আর প্রথমার্ধের ৩৫ মিনিটের খেলা শেষ হতে সময় লাগে পাক্কা ৬০ মিনিট! হকিপ্রেমীরা বলেন, হকি ফেডারেশন যে এমন পরিস্থিতিতে অসহায় ও অদক্ষ-অযোগ্য, তা আরও একবার প্রমাণিত হলো।
×