ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর দিন ও রাতের চেহারার পার্থক্য অনেক

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২ জুলাই ২০১৬

রাজধানীর দিন ও রাতের চেহারার পার্থক্য অনেক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর দিনের চেহারার সঙ্গে রাতের চেহারার পার্থক্যটা অনেক। দিনে যে পথ পেরোতে নগরবাসী যানজটে গলদ্ঘর্ম হন, সেখানে রাতের সড়ক থাকে ঝামেলামুক্ত ও খোলা। তবে এ চিত্র সবখানের নয়। বিশেষ করে মহাখালী, খিলগাঁও, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী তো নয়ই। রাতে এসব এলাকার রাস্তাগুলো বন্ধ থাকে অবৈধ পার্কিংয়ে। রাতে দেখা যায়, মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে সারাদেশে চলাচলকারী বড় বাসগুলো পার্কিংয়ের স্থান করে নিয়েছে টঙ্গী ডাইভারশন রোডের পুরোটা জুড়ে। রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে বড় গাড়িগুলো। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের তিব্বত মোড় থেকে মহাখালী বাস টার্মিনাল পর্যন্ত একই দৃশ্য। কেবল তাই নয়, বাসের সারি গিলে খেয়েছে নাবিস্কোর মোড় থেকে গুলশান লিংক রোডের দু’পাশসহ আশপাশের সকল সড়ক ও গলি। এছাড়া মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের দু’পাশে সিঙ্গেল ও ডাবল সারি করে রাখা হয়েছে গাড়ি। এসব গাড়ি পাহারা দেয়ার জন্য আবার নিরাপত্তারক্ষীও নিয়োগ রয়েছে। বাস মালিকদের কাছ থেকে এজন্য প্রতিদিন টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ নেয় বড় অঙ্কের পার্কিং চার্জ। যদিও টোকেন দেয়া হয় সামান্য টাকার। তবে যে সিটি কর্পোরেশনের সড়কে গাড়িগুলো রেখে যান চলাচলে বিঘœ ঘটানো হচ্ছে তারা পাচ্ছে না কানাকড়িও। সড়কে পার্কিংয়ের গাড়ি যারা রাতজেগে পাহারা দেন, তাদেরই একজন শামসু মিয়া। নাবিস্কো এলাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের সামনে চেয়ার পেতে বসেছিলেন তিনি। আলাপকালে জানালেন, রাস্তায় পার্কিং করা গাড়ি থেকে পার্কিং চার্জ সংগ্রহ করে মহাখালী বাস টার্মিনাল ইজারা নেয়া প্রতিষ্ঠান। রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করে যানজট তৈরি সম্পর্কে তিনি বলেন, রাতে তেমন সমস্যা না হলেও দিনে সিঙ্গেল করে গাড়ি রাখলেও যানজট হয়। রাস্তায় গাড়ি রেখে পার্কিং ট্যাক্স আদায় করা হয় কেনÑ এ প্রশ্নের কোন জবাব দিতে পারেননি তিনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পরিবহনকর্মী এ বিষয়ে জানান, টার্মিনালের ইজারাদার প্রতিদিন রাস্তায় পার্কিং করা গাড়ি থেকে ৩শ’ টাকা আদায় করেন। যদিও রসিদ দেয়া হয় ৫০ টাকার। অন্যদিকে রাজধানীর আরেক বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদে গিয়ে দেখা যায়, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা বন্ধ করে বাস পার্কিং করা হয়েছে। এতে এ সড়ক ব্যবহার করা যানবহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে।
×