স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী সরকারি মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। দুই শিক্ষা বর্ষ আগে সরকারি এই মেডিক্যাল কলেজের যাত্রা শুরু হলেও কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের প্রক্রিয়া সবে মাত্র শুরু হয়েছে। কলেজের জন্য মূল শহর থেকে ৫ কিমি দুরে সরকারি এবং বেসরকারি মিলে ৩০ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪৫ কোটি ৯১ লাখ ১৮ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই মেডিক্যাল কলেজের একাডেমিক ভবন ও হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে প্রকল্প পরিচালক ডা. শহিদ মোহম্মাদ সাদিকুল ইসলাম জানান।
সিরাজগঞ্জ জেলা শহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার শিয়ালকোল মৌজায় সরকারি এই মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের। তাদের এই দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্র্রী মোহাম্মাদ নাসিম ২০১৪ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারীতে তাঁকে দেয়া এক সংবর্ধনা সভায় এই মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের ঘোষণা দেন। একই বছরের ১৪ জুন একনেক বৈঠকে এই মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দেয়া হয়। পরের বছর ১০ জানুয়ারী সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের ট্রমা ভবনে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে এই মেডিক্যাল কলেজের ১ম বর্ষের ক্লাস উদ্বোধন করেন। এর পর থেকেই সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী সরকারি মেডিক্যাল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। এ নিয়ে সিরাজগঞ্জে তিনটি মেডিক্যাল কলেজের কার্য্যক্রম চলছে। এর মধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে রয়েছে দুইটি।
সিরাজগঞ্জে স্থাপিত শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজে বর্তমানে ২য় বর্ষ সহ এক শ এক জন শিক্ষার্থী ক্লাস করছে। শিক্ষক রয়েছেন ৩৩ জন। শিক্ষার্থীরা অনেকেই বলেছেন, হাসপাতালের অস্থায়ী এই ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে তাদের অনেকটা অসুবিধা হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হয়ে গেলে তাদের এই সাময়িক অসুবিধাটা আর থাকবে না। খুব শীঘ্রই এই কলেজের নির্মাণ শুরু হবে বলে আশা করছেন শিক্ষার্থীর।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন সম্পন্ন হলে জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য-সেবার মান বৃদ্ধি হবে, মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার ঘটবে।
হাসপাতাল নির্মান প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজের টেন্ডার করা হয়েছে। জুলাই মাসের শেষের দিকে এটি নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও হাসপাতাল ভবন ও একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজেরও প্রস্তুতি চলছে।