ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাদকের বিরুদ্ধে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হবে

প্রকাশিত: ০০:১৭, ৩০ জুন ২০১৬

মাদকের বিরুদ্ধে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হবে

সংসদ রিপোর্টার ॥ মাদক ব্যবসায়ীরা বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রভাবশালী। তারা বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক। অবৈধ অস্ত্রধারী বা অবৈধ অস্ত্রধারীদের পৃষ্টপোষক। তারা আন্ডারওয়াল্ডেরও নিয়ন্ত্রক। এরা মাদক পাচার ও ব্যবসায় আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে থাকে। তাদের মোকাবেলা করতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে আধুনিক প্রযুক্তিতে আপডেট রাখার বিকল্প নেই। এজন্য প্রয়োজন নিয়মিত বিশেষ প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সারাদেশে ৬২৮ জনকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি জানান, মাদক চোরাচালানেও আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার হচ্ছে। ইয়াবা পাচারকারীসহ মাদক অপরাধীরা গ্রেফতার এড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত কৌশল পরিবর্তন করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তাদের কৌশল ধরা পড়লে তারা নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মাদকমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলায় অধিদফতরের অফিস স্থাপন করা হয়েছে। অধিদফতরের সাংগঠনিক কাঠামো সংশোধন করে জনবল বাড়ানো হয়েছে। নতুন কাঠামো অনুযায়ী জনবল নিয়োগের জন্য নিয়াগ বিধি প্রণয়ন কার্যক্রম চলমান আছে। জাতীয় পার্টির মামুনুর রশীদ কিরণ ও আওয়ামী লীগের বেগম পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল সংসদে জানান, ইমিগ্রেশন ডাটাবেজ অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে এক লাখ ১২ হাজার ৪৮৫ জন বিদেশী চাকুরিরত আছেন। তাদের মধ্যে ৯১০ জনের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। স্পেশাল ব্রাঞ্চে অবৈধ বিদেশীদের তালিকা সংরক্ষিত আছে। অবৈধ বিদেশীদের সনাক্তকরণের জন্য প্রতিদিনই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে। অবৈধ চাকুরিরত বিদেশীদের সন্ধান পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সরকারী দলের জাহান আরা বেগম সুরমার প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ্আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সব ধরণের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতে বর্তমান সরকার জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ রোধ, জনগনের জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে আইন শাসন প্রতিষ্ঠা, জনগনের মৌলিক অধিকার রক্ষা ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে দূঢ় প্রতিজ্ঞ। এলক্ষ্যে পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জলদস্যুতা রোধে কোষ্ট গার্ড অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মিত ও যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে। এই অভিযান আরো অর্থবহ করতে গোয়েন্দা তথ্য ভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম জোরদারে কোষ্ট গার্ডের জন্য পৃথক পরিদপ্তর চালুর প্রস্তাবনা প্রক্রিয়াধীন আছে।
×