ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এখনকার মতো ফিট কখনই ছিলাম না ॥ কোহলি

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ৩০ জুন ২০১৬

এখনকার মতো ফিট কখনই ছিলাম না ॥ কোহলি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। ফর্মের তুঙ্গে আছেন ভারতের এ ব্যাটসম্যান। আর এমনটিই রহস্য কী? কোহলি জানালেন, ফিট থাকাই এর রহস্য। বললেন, ‘এখনকার মতো ফিট কখনই ছিলাম না।’ ফিটনেসই বদলে দিয়েছে কোহলিকে। সুস্বাস্থ্য শুধু ভাল ব্যাটসম্যানই নয়, ভাল ফিল্ডার হতেও সাহায্য করেছে। এ কথা জানালেন ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ২০১২ আইপিএলের পরই ফিটনেস সম্পর্কে তার ধ্যানধারণা বদলে যায়। তার আগে নিজের শারীরিক দিক সম্পর্কে এতটা সচেতন ছিলেন না তিনি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাদ্যতালিকা, কতটা শারীরিক কসরত করতে হবে, কতটা অনুশীলন করতে হবে, এসব ফিটনেস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতেন না কোহলি। কিন্তু ২০১২ আইপিএলের পর শরীরের কথা শুনতে শুরু করেন। আর এতে ফল মেলে হাতেনাতে। ভারতীয় দলের অন্যতম ফিট খেলোয়াড় এখন কোহলি। তিনি বলছেন, ফিটনেস লেভেলের তুঙ্গে থাকায় মনে হয় মাঠে ইচ্ছে মতো সব কিছু করতে পারেন। কোহলি চান, দলের অন্য খেলোয়াড়রাও ফিট থাকার কোন প্রচেষ্টাতেই যেন খামতি না রাখেন। কোহলি বলেছেন, ‘২০১২-র পর নিজস্ব লাইফস্টাইল বেছে নিয়েছিলাম। নিজেকে অন্য পর্যায়ে তুলে নিয়ে যেতে শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর পথ বেছে নিই। কারণ, আমি কখনও মাঝারি মাপের হয়ে থাকতে চাইনি। আমি বিশ্বের সেরা হতে চেয়েছিলাম। আমার এই মনোভাবটা বরাবরই ছিল। কিন্তু সেই শারীরিক সক্ষমতা ছিল না।’ কোহলি চান, ভারতের তরুণ প্রজন্মও স্বাস্থ্য ও ফিটনেসের দিকে নজর দিক। তিনি বলেছেন, ‘ক্রমবর্দ্ধমান স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার পরিসংখ্যান খুবই ভীতিপ্রদ। এটা একজনের মনে ভীতি তৈরি করে। তাই আমি ফিটনেস, সুস্থ থাকার সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে চাই। কেউ নিজেকে ভেতর থেকে ফিট মনে করলে যা ইচ্ছে হয় তা করতে পারবে। কোহলি আরও বলেন, ‘২০১২ সালের আইপিএল (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ) পর্যন্ত আমি কখনই আমার শারীরিক দিকে খেয়াল রাখিনি।’ দিল্লীতে একটি অনুষ্ঠানে নিজের ফিটনেস সম্পর্কে জানান কোহলি। তিনি বলেন, ‘আমি এক মিনিটও ফিটনেসের জন্য খরচ করিনি। যেমন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমার কি খাওয়া উচিত। কি পরিমাণ আমার কাজ করা দরকার এবং কি পরিমাণ আমার অনুশীলন করা উচিত ভাবিনি। ওই আইপিএলের পর আমি শরীরের কাছ থেকে শুনতে শুরু করেছি। আমি আমার শরীরের নতুন দিক আবিষ্কার করতে চেয়েছি। সবসময় আমার ওই মাইন্ডসেট ছিল। কিন্তু কখনও শারীরিক সামর্থ্য ছিল না।’ কোহলি মনে করেন, ‘যদি ভারত দলে কোন ফিটনেস নিয়ে সমস্যা হয় এটা আসলেই চিন্তার বিষয়। তাই আমি ফিটনেসের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করতে চাই। ফিট ও সুস্থ থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন তুমি সুস্থ থাকবে তখন সব কিছুই করা সম্ভব।’ আন্তর্জাতিক রেটিং দাবায় যুগ্মভাবে শীর্ষে রাকিব-রাজীব স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা প্রতিযোগিতার ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলা শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর গ্র্যান্ডমাস্টার আব্দুল্লাহ আল রাকিব ও গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব ৬ পয়েন্ট নয়ে যুগ্মভাবে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। সাড়ে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আন্তর্জাতিক মাস্টার ও জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ মিনহাজউদ্দিন ও লিওনাইন চেস ক্লাবের ফিদেমাস্টার আব্দুল মালেক দ্বিতীয় স্থানে। পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে এদের পরেই রয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান ও ফিদেমাস্টার খন্দকার আমিনুল ইসলামসহ মোট আট দাবাড়ু। বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এনএসসি টাওয়ার অডিটোরিয়াম লাউঞ্জ ও দাবা ফেডারেশনের ক্রীড়া কক্ষে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলায় রাকিব শাকিলকে, রাজীব ইমনকে, মালেক সিয়ামকে, জিয়া জামালকে, আমিন ফয়সালকে, সোহেল মিঠুকে, শফিক মানিককে, মোস্তফা হাদিউজ্জামানকে, বাবু আবজিদকে হারান। সিরাজ হাসনাত এলাহি চৌধুরীর বিপক্ষে ওয়াকওভার পান। সাইফুল ইসলাম চৌধুরী শাহনাজ মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে ড্র করেন।
×