ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইতালির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত জার্মান কোচ লো

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ৩০ জুন ২০১৬

ইতালির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত জার্মান কোচ লো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ আটে জায়গা করে নেয় ইতালি। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি। বিশ্বফুটবলের অন্যতম শক্তিশালী দল ইতালির বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সামি খেদিরাকে বাজি হিসেবে নিচ্ছেন জার্মানির অভিজ্ঞ কোচ জোয়াকিম লো। কেননা গত বছরে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে খেদিরা যে খেলছেন ইতালিয়ান লীগ সিরি এ তে! তাই জোয়াকিম লো মনে করছেন, খেদিরা ইতালিয়ান ফুটবলারদের কৌশল সম্পর্কে বেশ ভালই জানেন। এ প্রসঙ্গে বিশ্বকাপজয়ী কোচ লো বলেন, ‘সামির সঙ্গে আমি অনেক কথা বলব। আমাদের কাছে সে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সিরি এ ফুটবল সম্পর্কে সে অনেক কিছুই জানে।’ স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে দীর্ঘ পাঁচ বছর কাটানোর পর গত বছরই জুভেন্টাসে যোগ দেন খেদিরা। ইতালিয়ান জায়ান্ট ক্লাবটির সঙ্গে ইতোমধ্যেই ২০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে প্রতিপক্ষের জালে ৫ বার বল জড়িয়ে নিজেকেও সিরি এ লীগে মেলে ধরেছেন দারুণভাবে। তাই জোয়াকিম লোর বিশ্বাস, ‘সে আমাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারবে যা প্রকৃতপক্ষে আমার আগে জানা ছিল না। সে তাদের সঙ্গে প্রতিদিনই একত্রে অনুশীলন করে, যে কারণে তারা কেমন তা খুব ভাল করেই জানা। চাপের মধ্যে কেমন? এমন সব মুহূর্তে কিভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করে তাও বেশ ভাল জানা তার। সে খুবই বুদ্ধিমান এবং চতুর। তাকে যে কাজ দেয়া হয় তা খুব ভালভাবেই সম্পন্ন করে।’ আগামী শনিবার বোর্দোতে ইতালির মুখোমুখি হবে জার্মানি। দলটির প্রতি আক্রমণের দক্ষতায় কিছুটা হলেও শঙ্কিত জার্মান কোচ। এবারের আসরে ইতালি এ পর্যন্ত পরাজিত করেছে বেলজিয়াম, সুইডেন ও স্পেনের মতো ফেবারিট সব দলকে। তবে তাদের বড় ব্যর্থতা কেবল আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের কাছে গ্রুপ পর্বের সেই হারটি। তাই লোর ভাবনা জুড়ে রয়েছে ইতালির দুর্ভেদ্য রক্ষণভাগ। কিভাবে এই রক্ষণবুহ্যকে পরাজিত করা যায়, সেটি নিয়েই এখন ছক আঁকছেন জার্মান কোচ। তিনি বলেন, ‘আমি এখন এই ম্যাচটি নিয়েই বেশি ভাবছি। ইতালি চিত্তাকর্ষক খেলা উপহার দিয়েছে। রক্ষণভাগেও তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে। আক্রমণভাগেও ধার রয়েছে। দলটি ২০১২ সালের চেয়ে এখন আরও ভাল। এখন আমাদের ইতালির প্রতি আক্রমণ সামাল দিতে হবে এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য ভাল একটি গেম পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।’ সেøাভাকিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে কাফ ইনজুরিতে ভুগছিলেন জার্মান দলের ডিফেন্ডার জেরোমে বোয়াটেং। তবে জোরালো চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে ম্যাচের আগেই সুস্থ করা হয়েছে তাকে। এদিক দিয়ে বেশ স্বস্তিতেই আছেন লো, ‘আমাদের প্রতি খেলোয়াড়ই এখন ম্যাচে নামার উপযোগী। সেøাভাকিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে ইনজুরিগ্রস্ত বোয়াটেংকে নিয়ে নিরলস কাজ করেছে মেডিক্যাল টিম। শেষ পর্যন্ত চমৎকারভাবে তারা তাদের কাজটি সম্পন্ন করেছে। প্রতিটি খেলোয়াড়ের প্রতি আমার যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা নিজেদের গড়ে তুলছে। এই সপ্তাহে আমরা নতুন মাত্রায় খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাই খেলার মাঝখানের এই বিরতি আমাদের জন্য মোটেই অসুবিধার নয়।’ ২০০৬ সালে এই ইতালির কাছে হেরেই বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয় জার্মানির। সে সময় দলটির সহকারী কোচ ছিলেন লো। ২০১২ সালের ইউরোতে জার্মানিকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ইতালি। ইতালির মারিও বালোতেল্লি একাই ২ গোল করে ম্যাচের গতি প্রকৃতি ঘুরিয়ে দেন। লো জানান, আগের পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। আর এই শিক্ষা কাজে দিয়েছে ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতার সৌজন্যে। এবার ইউরোতেও সাফল্য পেতে মরিয়া। গোমেজ-মুলাররা কী পারবেন ইতালির বাধা পেরিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে? সমর্থকদের অপেক্ষা এখন সেটাই দেখার।
×