ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম নগরীতে জমজমাট ঈদ বাজার

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ৩০ জুন ২০১৬

চট্টগ্রাম নগরীতে জমজমাট ঈদ বাজার

আহমেদ হুমায়ুন, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বন্দরনগরীতে শেষ মুহূর্তে জমজমাট হয়ে উঠেছে ঈদ বাজার। অভিজাত বিপণি বিতান থেকে শুরু করে ফুটপাথ সবখানে এখন মানুষ আর মানুষ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতার ভিড়ে দম ফেলার ফুসরত নেই বিক্রেতাদের। থান কাপড়ের বেচাকেনা আগেই শেষ, এখন ক্রেতাদের ভিড় তৈরি পোশাক আর শাড়ির দোকানে। এসব দোকানে ক্রেতার ভিড়ের সঙ্গে বেচাকেনাও চলছে সমান তালে। নগরীর নিউমার্কেট, মিমি সুপার মার্কেট, সানমার ওশান সিটি, আমিন সেন্টার, ষোলশহর শপিং কমপ্লেক্স, সেন্ট্রাল প্লাজা, ইউনুস্কো সেন্টার, আখতারুজ্জামান সেন্টার, ব্যাঙ্কক-সিঙ্গাপুর মার্কেট, লাকী প্লাজা, ভিআইপি টাওয়ার, রেয়াজুদ্দিন বাজার, বে-শপিং সেন্টার, ঝনক প্লাজা, অলঙ্কার কমপ্লেক্স, জহুর হকার্স মার্কেট, সমবায় সিঙ্গাপুর মার্কেটসহ সর্বত্র এখন জমজমাট ঈদবাজার। বিক্রেতাদের হাঁকডাক, ক্রেতাদের দর কষাকষি। এবার বন্দর নগরীতে উঠতি বয়সী মেয়ে ও তরুণীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে বাজিরাও মাস্তানি। পছন্দের এ পোশাকটি কিনতে অনেকে ঢুঁ মারছেন এসব মার্কেটে। শুধু প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত বিপণি বিতানগুলোই নয়, এ মুহূর্তে ঈদ বাজার জমে উঠেছে ফুটপাথ ও বিভিন্ন হকার্স মার্কেটে। জহুর হকার্স মার্কেটে লোকসমাগম এত বেশি যে সেখানে হাঁটাচলাও কষ্ট। নগরীর নিউমার্কেট, আমতল, জুবিলী রোড, স্টেশন রোড এলাকা লোকে লোকারণ্য। দেইখা লন, চাইয়া লন, যা নিবেন একশ, যা নিবেন দেড়শ বিক্রেতার এমন হাঁকডাকে মুখর হয়ে উঠেছে এসব এলাকা। শার্ট, প্যান্ট, শাড়ি, সেলোয়ার-কামিজ, প্রসাধনী সবকিছুই মিলছে ফুটপাথে। নামি দামি শপিংমলেও চলছে জমজমাট বেচাকেনা। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ১৫টি অভিজাত ও ৫৮টি সাধারণ বিপণিকেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়া টেরিবাজার, তামাককু-ি লেইন ও রিয়াজউদ্দিন বাজারে ২৬০টি ছোট আকারের মার্কেট রয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে এসব বিপণিকেন্দ্রের ৪৬ হাজার দোকানে পোশাক, জুতা, প্রসাধনী ও গয়নার বেচাকেনাও জমে উঠেছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন শপ ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম বলেন, ঈদে নগরবাসী সিংহভাগ ব্যয় করেন পোশাকের পেছনে। এ বছর বেচাকেনার পরিমাণ বাড়ছে। এবার পাইকারী ও খুচরা বেচাকেনার পরিমাণ তিন হাজার কোটি টাকার মতো হতে পারে আশা প্রকাশ করেন।
×