স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলার উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে গ্রামপুলিশদের (চৌকিদার ও দফাদার) বেতন থেকে রহস্যজনকভাবে দিনে দুপুরে নগদ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত নানা দেনদরবার শেষে গ্রামপুলিশদের ঈদের বোনাস ও বেতন থেকে খেসারত দিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উজিরপুর উপজেলার ৮২ জন গ্রামপুলিশের ঈদ বোনাস ও বেতন বাবদ ৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন সংশ্লিষ্ট অফিস সহকারী শহীদুল ইসলাম। তিনি মঙ্গলবার সকালে এ টাকা নিয়ে নির্বাহী অফিসারের পাশের অফিস রুমে সকাল ১০টায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা সামনের একটি আলমিরাতে রেখে বাকি টাকা প্রতিজন গ্রামপুলিশকে ৭ হাজার ৫’শ টাকা ও দফাদারদের ৮ হাজার ৫’শ করে হারে ১৯ জন গ্রামপুলিশ ও একজন দফাদারের টাকা দেওয়া শেষ করেন। দুপুর একটার দিকে সামনের আলমীরাতের রক্ষিত টাকা আনতে গেলে রহস্যজনকভাবে ব্যাগসহ টাকা না পেয়ে তিনি (শহীদুল) ডাকচিৎকার শুরু করে। এদিকে দীর্ঘ ৩ মাসের জমানো বেতন ও ঈদ বোনাস নিতে এসে টাকা না পেয়ে ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন গ্রামপুলিশ ও দফাদাররা। খবর পেয়ে দফাদার সমিতির কেন্দ্রীয় সম্পাদক মোশারেফ হোসেনসহ গ্রামপুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন। এনিয়ে দিনভর নানা নাটকীয়তা শেষে ওইদিন সন্ধ্যার পরে গ্রামপুলিশদের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা করে কর্তন করে রেখে বিষয়টির সুরাহা করা হয়।
ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, অফিস সহকারী শহীদুল ইসলাম টাকা চুরির নাটক সাজিয়ে ওই টাকা আত্মসাত করেছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে শহীদুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অফিসে এসে সামনের আলমিরাতে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা রেখে বাকী টাকা দেওয়া শুরু করি। টাকা শেষ হলে আলমিরাতে টাকাসহ ব্যাগ না পেয়ে ইউএনও স্যারকে বিষয়টি অবহিত করি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝুমুর বালা জানান, সকলের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: