ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উত্তর বাড্ডার প্রিমিয়ার প্লাজায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

প্রকাশিত: ১৮:৪৫, ২৯ জুন ২০১৬

উত্তর বাড্ডার প্রিমিয়ার প্লাজায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

অনলাইন রিপোর্টার॥ ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মাহমুদুল হক জানান, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ১৪তলা ওই ভবনে আগুন লাগার পর তাদের ২৬টি ইউনিট কাজ শুরু করে। ঘণ্টা তিনেক পর আগুন অনেকটা নিয়্ন্ত্রণে আনা গেলেও ভবনের ফ্লোরগুলোর পোড়া ধ্বংসস্তূপ থেকে কিছু সময় পর পর নতুন করে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল বুধবার সাড়ে ৮টার দিকেও। ১৪তলা ভবনটির দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত আসবাবপত্রের দোকান। পাঁচ ইউনিটের ভবনের পঞ্চম থেকে ১৪তলা পর্যন্ত আবাসিক অংশের ফ্ল্যাটগুলোতে কয়েকশ মানুষের বসবাস। ঘটনাস্থল থেকে বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দেলোয়ার হোসেন জানান, আগুনে কেউ আহত হননি। তবে বয়স্কদের কেউ কেউ উৎকণ্ঠা ও ধোঁয়ায় অসুস্থ বোধ করায় তাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলছেন, ভবনের বাণিজ্যিক অংশের আসবাবপত্রের দোকানের দাহ্য সামগ্রীর কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের বেগ পেতে হয়। প্রগতি সরণির লাগোয়া পাঁচ ইউনিটের বড় ওই কমপ্লেক্সে চার পাশ থেকে আগুন নেভানোর জন্য যথেষ্ট জায়গা না থাকায় এবং পানির উৎসের অভাবের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে বলে একজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী জানান। তিনি বলেন, আশপাশের ভবনগুলো থেকে পানি নিয়ে পেছনের সরু গলি দিয়ে ঢুকে আগুন নেভানো তাদের জন্য অনেক কঠিন ছিল। পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে হোস দিয়ে পানি ছোড়া হলেও তা আসবাবের দোকানের ভেতরে গভীর অংশে ঠিক মতো পৌঁছাচ্ছিল না। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা জানান, সেহেরির সময় দ্বিতীয় তলায় একটি আসবাবের শোরুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রাথমিক খবরে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কাজ শুরু করে। পরে আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে আরও ১৮টি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। ধোঁয়া উপরের দিকে উঠতে শুরু করলে এবং আশপাশের মানুষের হাঁকডাকে ভবনের আবাসিক অংশ থেকে অনেকেই পরিবার নিয়ে নিচে নেমে আসেন। সে সময় পাশের একটি মসজিদ থেকে মাইকিং করেও ওই ভবনের বাসিন্দাদের বেরিয়ে আসতে বলা হয়। উপরের ফ্লোরগুলোর বাসিন্দাদের অনেকে আগুন লাগার পর ছাদে উঠে গিয়ে সেখানেই আটকা পড়েন। শতাধিক মানুষকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা উৎকণ্ঠা নিয়ে ছাদেই অপেক্ষা করতে হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেন বলে বাড্ডা থানার পরিদর্শক দেলোয়ার জানান।
×