ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

যে কারণে আলোচনায় এই সভা

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ২৭ জুন ২০১৬

যে কারণে আলোচনায়  এই সভা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরায় আজ থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) বার্ষিক সাধারণ সভা। প্রতিবছরের মতো এবারও সভায় বিভিন্ন ইস্যু থাকছে, তবে সবচেয়ে আলোচিত দ্বিস্তরবিশিষ্ট টেস্ট ও ১৩ দল নিয়ে ওয়ানডে লীগের বিষয়টি, যেটি অনুমোদনে আইসিসির আগ্রহ ইতোমধ্যে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। টি২০’র দাপটে টেস্ট-ওয়ানডের জনপ্রিয়তা কমে আসা, উন্নয়নশীল ক্রিকেট শক্তির ভবিষ্যত ভাবনা, সহযোগী দেশগুলোর অবস্থান, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একঘরে হয়ে পড়া পাকিস্তানের আর্থিক সাহায্যের আহ্বান, এমনকি ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড বোর্ডের সমন্বয়ে ‘বিগ থ্রি’র ফিরে আসার চেষ্টা, এসব কারণে এবারের সভার দিকে ক্রিকেটপ্রেমীদের বিশেষ দৃষ্টি। বাংলাদেশের ভূমিকা ও প্রাপ্তির খাতায় কি যোগ হয়, সেটি দেখতেও মুখিয়ে টাইগার ভক্তরা। আইপিএল, বিগ ব্যাশ, ক্রমাগত টি২০’র জনপ্রিয়তা, সঙ্গে অর্থের ঝনঝনানি, বিশ্বের শীর্ষ ক্রিকেটারদের অনেকে টেস্টের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন। আইসিসি অনেকদিন ধরেই সাদা পোশাকে ঐতিহ্যের এই ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করার বিষয় নিয়ে ভাবছে। দ্বিস্তরের টেস্টের ভাবনা তারই ফসল। প্রথম স্তরে থাকবে র‌্যাঙ্কিংয়ের প্রথম সাতটি দেশ, দ্বিতীয় স্তরে স্ট্যাটাসভুক্ত বাকি তিন দেশের সঙ্গী হবে কন্টিনেন্টাল খেলা শীর্ষ দুই সহযোগী দেশ। নির্দিষ্ট স্তরে হোম-এ্যাওয়ে ভিত্তিতে প্রত্যেকে প্রত্যেকের বিপক্ষে খেলবে। দুই বছর পর পয়েন্টের ভিত্তিতে সেরা সাতের শেষ দলের অবনমন হবে, সেখানে উঠে যাবে দ্বিতীয় স্তরের শীর্ষ একটি দেশ। তাতে সাত নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কা শীর্ষ দল অস্ট্রেলিয়া-ভারতের সঙ্গে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাবেÑ তাতে টেস্টের জনপ্রিয়তা বাড়বে, আইসিসির ধারণা এমনই। তবে তলানিতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ আর জিম্বাবুইয়েকে খেলতে হবে সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে! সভায় বাংলাদেশ বোর্ডের (বিসিবি) অবস্থান কি হয়, সেটি তাই দেখার বিষয়। আর প্রস্তাবিত ওয়ানডে লীগে মোট ১৩টি দল অংশ নেবে। টেস্ট খেলুড়ে দশ দলের সঙ্গে আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ডসহ আরও একটি দল সুযোগ পাবে। সেটি হতে পারে স্কটল্যান্ড, অথবা উদীয়মান নেপাল। প্রতিটি দল ‘হোম এ্যান্ড এ্যাওয়ে ভিত্তিতে’ একে অপরের বিপক্ষে তিনটি করে ম্যাচ খেলবে। দীর্ঘ তিন বছরের এই প্রক্রিয়ায় দুই ফাইনালিস্ট (লীগের সেরা দু’দল) ছাড়া প্রতিটি দল মোট ৩৬টি করে ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাবে। প্রক্রিয়ায় তলানিতে থাকা দল রেলিগেশনে (অবনমন) পড়বে এবং সহযোগী দেশগুলোর মধ্য থেকে শীর্ষ দল নতুন করে যুক্ত হবে। ওয়ানডে লীগের বাইরে থাকা দলগুলো সিরিজ খেলবে কেবল নিজেদের মধ্যে, কিন্তু বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জনে বাইরের ম্যাচগুলো বিবেচিত হবে না।
×