ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বরিশালে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে অপহরনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২০:৪০, ২৬ জুন ২০১৬

বরিশালে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে অপহরনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলার উজিরপুর বরতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীতে পড়–য়া ছাত্রী লাবনী আক্তারকে অপহরনের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের ৪৮ দিন পেরিয়ে গেলেও অপহৃতাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো মামলা প্রত্যাহারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্মম নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বাদির স্বামী। অপহৃতার খালা রেহানা বেগম অভিযোগ করেন, লাবনীর মা প্রবাসে থাকেন। তার বাবা নিরুদ্দেশ হওয়ায় জয়শ্রী গ্রামে তার কাছে থেকেই পড়াশুনা করছিলো লাবনী (৯)। গত ৪ মে লাবনীকে স্কুল থেকে প্রধানশিক্ষক সেলিনা আক্তার তার বরিশালের বাসায় নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও লাবনীর সন্ধান না পেয়ে গত ২০মে তিনি (রেহানা বেগম) উজিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধানশিক্ষক সেলিনার নিকটাত্মীয় মিজানুর রহমান তাকে জিডি প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করে। এ ঘটনায় গত ৩১ মে তিনি বাদি হয়ে প্রধানশিক্ষক সেলিনা আক্তার, তার আত্মীয় শেফালী বেগম ও প্রধানশিক্ষকের ননদ জামাই মিজানুর রহমানকে আসামি করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের এক মাস পর শেফালী ও মিজানুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও অপহৃতা লাবনীকে আজও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, অপহরন মামলার প্রধান আসামি সেলিনা বেগমের পুত্র সেনাবাহিনীর মেজর পদে কর্মরত রয়েছেন। সেই ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বরিশালের একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যারা বুধবার (২২ জুন) তাদের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তার স্বামী রফিকুল ইসলামের (৩৫) চোখ বেঁধে ঘন্টাব্যাপী অমানুষিক নির্যাতন চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, এসময় ঘটনাস্থলে প্রধানশিক্ষক সেলিনা আক্তার ও তার পুত্র (সেনা কর্মকর্তা) উপস্থিত ছিলেন। মামলা তুলে নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাদির পরিবারকে এখনো হুমকি অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। উজিরপুর থানার ওসি গোলাম সরোয়ার বলেন, মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও অপহৃতাকে উদ্ধার করা যায়নি। পরে মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তুষার জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
×