জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মাদারীপুর, ঠাকুরগাঁও ও মাগুরার গ্রামীণ জনপদেও জমে উঠেছে ঈদবাজার। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচা কেনা। খবর নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
মাদারীপুর ॥ শহরের ছোট-বড় বিপণি বিতানগুলোয় ভিড় পড়ে গেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ জনপদেও জমে উঠেছে ঈদের বাজার। সকাল থেকেই গৃহবধূ, যুবতী-কিশোরীরা তাদের ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোনদের নিয়ে ছুটছে বাজারের দিকে। মাদারীপুর শহরের পুরান বাজার, কুলপদ্বী, সদর উপজেলার চরমুগরিয়া, মস্তফাপুর, কলাগাছিয়া, মিঠাপুর কারিবাজার, শ্রীনদী বাজার, ছিলারচর, শিবচর উপজেলার বরহামগঞ্জ বাজার, পাচ্চর বাজার, দত্তপাড়া, সূর্যনগর, চান্দেরচর বাজার, শেখপুর হাট, উৎরাইল, কাদিরপুর, বহেরাতলা, রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট, কবিরাজপুর, আমগ্রাম, বাজিতপুর, রাজৈর, কদমবাড়ি, কালকিনি উপজেলার গোপালপুর, ভূরঘাটা, কালকিনি, কালিগঞ্জ, ফাসিয়াতলা, সাহেবরামপুর, মিয়ারহাট, মোল্লারহাট, ঝুঁরগাঁও, রমজানপুর, খাশেরহাট, ঘোষেরহাট, শশীকর বাজার এখন ঈদের কেনাকাটায় সরগরম হয়ে উঠেছে।
বাজারে ছোট বড় ছেলেমেয়ে, মধ্যবয়সী নারী-পুরুষসহ পিছিয়ে নেই ঈদের মার্কেট করতে আসা বৃদ্ধ নারী পুরুষ। তবে পুরুষের চেয়ে মেয়েদের বেশি দেখা যাচ্ছে প্রতিটি দোকানে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু করে প্রায় গভীর রাত পর্যন্ত দোকান বেচাকেনা চলছে।
মাগুরা ॥ মাগুরায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে ঈদের কেনাবেচা। দোকান থেকে দোকান ঘুরে পছন্দের পণ্য ক্রয় করছেন ক্রেতারা। শহর লোকে লোকারণ্য। শহরের বেবী প্লাজা, নুরজাহান প্লাজা, জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, বকশি মার্কেট, সুপার মার্কেট, জুতাপট্টি প্রভৃতি মার্কেট ও দোকানে বেচাকেনা হচ্ছে প্রচুর। গ্রাম থেকেও বহু মানুষ শহরে আসছেন ঈদবাজার করতে।
সিট কাপড়, গার্মেন্টস ও শাড়ি কাপড়ের দোকানগুলেতে বেশি ভিড় হচ্ছে। কসমেটিক ও জুতার দোকানগুলোতে ভাল ভিড় হচ্ছে। দর্জিরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। এদিকে জেলার বুটিক কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের দম ফেলার সময় নেই। কারুকার্যময় শাড়ি, থ্রিপিস, সালোয়ার কামিজ ও পাঞ্জাবি ক্রেতাদের দৃষ্টি কাড়ছে। দামও ক্রেতাদের আয়ত্তের মধ্যে ।
ঠাকুরগাঁও ॥ জমে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের ঈদবাজার। সকাল থেকে গভীররাত পর্যন্ত শহরের অর্ধশতাধিক মার্কেট ও ফুটপাথের সব দোকানই ক্রেতায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকছে। ক্রেতা-বিক্রেতার দম ফেলানোর ফুসরত নেই। এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় ব্যবসা ভাল হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেটে আসা ক্রেতাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সার্বক্ষণিক থানা পুলিশের সিভিল টিম, নারী পুলিশ টিম ও ইউনিফর্ম টিম টহল দিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, এবারের ঈদবাজার ইতোমধ্যে পুরোপুরি জমে উঠেছে।
ভৈরবে শতাধিক মিনি গার্মেন্টস
নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব থেকে জানান, ভৈরবে শতাধিক মিনি গার্মেন্টস কারখানায় প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক এখন ঈদের পোশাক তৈরি করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। প্রতিটি কারখানায় বিরামহীনভাবে চলছে রং-বেরঙের নানা ডিজাইনের ছেলে-মেয়েদের পোশাক তৈরির কাজ।
তবে মেয়েদের পোশাকের তুলনায় ছেলেদের পোশাকের চাহিদা রয়েছে বেশি। গার্মেন্টস মালিকরা বিভিন্ন বাজার থেকে কমদামি থান কাপড় কিনে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য তৈরি করছে এসব পোশাক। এসব তৈরি পোশাক ভৈরবের চাহিদা পূরণ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিস্তৃর্ণ হাওড় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
এসব কারখানায় শ্রমিকরা সাধারণত দৈনিক ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা উপার্জন করে থাকেন। আবার অনেক শ্রমিক মাসিক বেতনের ভিত্তিতেও কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু বিশেষ উৎসবে বেশি কাজ করেও শ্রমিকরা বাড়তি মজুরি পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
শত দেন দরবারেও বাড়ে না তাদের মজুরি। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের অর্থকষ্টে দিন কাটে। অন্যদিকে মালিকগণ জানালেন তাদের নানান অসুবিধার কথা। প্রতি বছর রমজান আসলেই প্রতিটি কারখানায় বেড়ে যায় কয়েকগুণ কর্মব্যস্ততা। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন, কারণ রমজানের প্রায় শেষ পর্যায়ে এলেও তাদের উৎপাদিত তৈরি পোশাক সিংহ ভাগই কারখানায় রয়ে গেছে বলে মালিকরা জানান। ফলে এখন তারা দিশেহারা। ঈদের আগে তৈরি পোশাকগুলো বিক্রয় করতে না পারলে প্রতিটি কারখানার মালিক বিপুল অংকের লোকসান গুনতে হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: