ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপস

রেকর্ড গড়ে অলিম্পিক প্রস্তুতি সারলেন হসজু

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ১৮ মে ২০১৬

রেকর্ড গড়ে অলিম্পিক প্রস্তুতি সারলেন হসজু

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আর মাত্র আড়াই মাস। এরপরই শুরু হবে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক। এবার ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহর আয়োজন করবে ‘গ্রেটেস্ট শোন অন আর্থ’ হিসেবে বিবেচিত এ মহাযজ্ঞের। ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলের অন্যতম ফেবারিট হাঙ্গেরির ক্যাটিঙ্কা হসজু। সেটার প্রমাণ এবার ইউরোপিয়ান সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপসেও দেখিয়েছেন তিনি। লন্ডনে চলমান এ চ্যাম্পিয়নশিপস প্রতিযোগিতায় নতুন রেকর্ড গড়ে তিনি এই ইভেন্টের স্বর্ণ জিতেছেন। ২০১২ অলিম্পিক আসর আয়োজন করেছিল লন্ডন। সেটার সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ্যাকুয়াটিক সেন্টারে। ২৭ বছর বয়সী হসজু সেখানেই ঝড় তুলেছেন। বিশ্বের সব শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ধরনের সতর্কবাণীও দিয়ে ফেলেছেন। এর আগে ইউরোপের যত মহিলা সাঁতারু এ আসরে পুলে নেমেছেন যে কারও চেয়ে দ্রুত শেষ করেছেন এদিন ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলে। গড়েছেন নতুন চ্যাম্পিয়নশিপস রেকর্ড। ৪ মিনিট ৩০.৯০ সেকেন্ডে শেষ করেন হসজু। এটি পূর্বের রেকর্ডের চেয়ে ০.০৭ সেকেন্ড কম। এ সময় তিনি পেছনে ফেলেন ব্রিটেনের হান্নাহ মিলি ও স্বদেশী সুজসান্না জ্যাকাবসকে। তবে শুরুটা খুব খারাপ হয়েছিল হসজুর এবং সে কারণে কিছুটা হতাশাবোধই করেছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছি। আমার মনে হচ্ছিল আমি আসলে আমার পোশাকটা খুলে ফেলেছি। কিন্তু নিজের মধ্যে স্থিরতা আনতে পেরেছিলাম এবং নিজেকে বলছিলাম আমি ৪০০ মিটারে নেমেছি। এরপরই আমি ভালবোধ করতে শুরু করি এবং শেষ পর্যন্ত জিতে গেছি। এখন অনেক ভাল বোধ করছি এবং দারুণ উত্তেজনাও বোধ করছি। একটা বিষয়ে আরও খুশি লাগছে যে আজকের চেয়েও আমি দ্রুত শেষ করতে পারি সেটা বুঝতে পেরেছি।’ হসজু সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। কিন্তু এত সাফল্য সত্ত্বেও তিনি এখন পর্যন্ত কোন অলিম্পিক পদক জিততে পারেননি। ২০১২ অলিম্পিকেও একই জায়গায় সাঁতার শেষ করে পদক মঞ্চে যেতেই পারেননি হসজু। কিন্তু গত দুটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপসে ডাবল জিতেছেন তিনি। তাই এবার অলিম্পিকে অন্যতম ফেবারিট তিনি স্বর্ণ জয়ের ক্ষেত্রে। তবে সেটা নিয়ে চিন্তা করে নিজের ওপর বাড়তি চাপ ফেলতে নারাজ হসজু। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি রিওতে ভালভাবেই যেতে চাই। কিন্তু সেটা অন্যান্য দিনের মতোই কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ছাড়া কিছু নয়।’ ব্রিটিশ তারকা মিলি অলিম্পিক দলেরই সদস্য। কিন্তু এবার তিনি শেষ করলেন ৪ মিনিট ৩৫.২৭ সেকেন্ড টাইমিং নিয়ে। কিন্তু এ নৈপুণ্য নিয়েই খুশি মিলি বলেন, ‘আমি সন্তুষ্ট এবং ক্লান্ত। যখন ১০০ ভাগ সজীব থাকা সম্ভব হয় না তখন কোন চ্যাম্পিয়নশিপসে নামা বেশ কঠিন। এক্ষেত্রে আত্মমর্যাদার ব্যাপারটি কিছুটা অপ্রতিভ করে ফেলে, কারণ সবাই অনেক দ্রুত সাঁতরাতে চায়।’
×