ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বড় বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রায় উচ্চাশা

প্রকাশিত: ২২:২০, ১৭ মে ২০১৬

বড় বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রায় উচ্চাশা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতি থাকলেও আগামী বাজেটে প্রায় ২ লাখ ৪২ হাজার ৬৫২ কোটি টাকার উচ্চ প্রবৃদ্ধির রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিচ্ছে সরকার। এক্ষেত্রে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ভ্যাট থেকে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ের প্রত্যাশা করা হলেও অর্থনীতিবিদদের মতে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হবে এ অর্থ বছরে'র সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের মতে নতুন করের ক্ষেত্র নির্ধারণ, এনবিআরের প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর ফাঁকি রোধে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে। অর্থনীতির আকার বাড়ায় প্রতিবছরই বাড়ছে জাতীয় বাজেটের আকার। এবার বেশ আগেই অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেট হতে পারে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার। এই বড় বাজেটের ব্যয়ের যোগান দিতে এনবিআরের ওপর পড়ছে ২ লাখ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব সংগ্রহের ভার। অথচ চলতি অর্থবছর এনবিআর'কে দেয়া ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে প্রথম নয় মাসে অর্জন মাত্র ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদদের মতে, কর দাতার সংখ্যা বাড়ানো ও নতুন করের ক্ষেত্র তৈরি করতে না পারলে আগামী অর্থ বছরেও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না। এনবিআর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, 'ব্যয়ের বাজেট অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি ধরতে যেয়ে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেশি করতেই হচ্ছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য খাত, ক্ষেত্র, করদাতার সংখ্যা বাড়ানো এই কাজগুলো করতে হবে। এর জন্য গবেষণা প্রয়োজন।' এছাড়া আগামী অর্থবছরে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার রাজস্ব বাড়ানোর চিন্তা করলেও ব্যবসায়ীদের বিরোধিতার কারণে এই আইন বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মত অর্থনীতিবিদদের। অর্থনীতিবিদ তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, 'ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন নিয়েও অনেক ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। সার্বিকভাবে ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের উপর চাপ না ফেলে বাস্তবায়ন করা যাবে কি না, সেদিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো কিভাবে কর আদায়ের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সক্ষমতা আরো বাড়াতে পারছি। আমাদের কর ফাঁকি দেয়ার যে প্রবণতা রয়েছে সেটা কতখানি কমাতে পারছি।' ব্যবসায়ীদের মতে সর্বক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই বাজেটে ভ্যাট আইন সংশোধন করে বিভিন্ন স্তরে ভ্যাট প্রদান ও প্যাকেজ ভ্যাট বহাল রাখাসহ টার্নওভার ট্যাক্স কমানোর দাবি। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্বল্পমেয়াদী কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের করের আওতায় আনা, বাজেটে আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত পুন:বিবেচনা ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাকে কার্যকর করার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। ##
×