ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গাধা-খচ্চরদের জন্য দিনরাত কাজ করছে একটি সংস্থা

প্রকাশিত: ১৯:৩৯, ১৭ মে ২০১৬

গাধা-খচ্চরদের জন্য দিনরাত কাজ করছে একটি সংস্থা

অনলাইন ডেস্ক॥ খাটুনির কথা এলেই গাধার কথা আমাদের সকলের আগে মনে পড়ে। কথায় বলতে গিয়েও বারবার একই কথা আসে, 'গাধার মতো খাটনি'। কথাটা একেবারে একশ' শতাংশ সত্যি। খ্রিস্টপূর্ব ৪ হাজার বছর আগে থেকে মানুষের সঙ্গেই রয়েছে। তবে তখনও অবহেলিত ছিল, আজও তাই। বরং এখন চিত্রটা আরও ভয়াবহ। বিশ্বের যেসব অংশে মানুষ গৃহপালিত গাধা এবং খচ্চরদের সাহায্যে জীবীকা অর্জন করে থাকেন, সেখানে চিত্রটা খুবই করুণ। সারাদিন মুখ বুজে প্রাণপাত করা খাটুনির পরেও জোটে না খাবার। সামান্য পানিটুকু খাওয়ার জন্যেও ৫ মিনিটের বিশ্রাম দেওয়া হয় না। উপরন্তু আরও বেশি কাজ করাতে চলে বেধরক মারধর। চিত্রটা কমবেশি সব দেশেই প্রায় এক। এ কারণেই যেখানে জংলি গাধারা বাঁচে প্রায় ২০ বছর, সেখানে গৃহপালিত গাধা বাঁচে মাত্র ৫-৬ বছর। এত অত্যাচারের কাছে এ প্রাণীদের অসহায় আত্মসমর্পণ করা ছাড়া অন্য কোনো উপায়ও থাকে না। ভারতে এই প্রাণীদের জন্য একটি স্যাঙ্কচুয়ারি রয়েছে। ঠিক স্যাঙ্কচুয়ারি বলতে যা বোঝায় তেমনটা নয়। তবে তারা যে কাজ করছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। ভারতের যেসব অঞ্চলে গাধা বা খচ্চরদের ওপর নির্ভর করে জীবীকা অর্জন করা হয়, সেখানে গিয়ে এই প্রাণীদের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করে ডঙ্কি স্যাঙ্কচুয়ারি অফ ইন্ডিয়া নামে এই সংস্থাটি। তার সঙ্গে মোবাইল চিকিত্‍সা কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় চিকিত্‍সাও করে তারা। তার সঙ্গে স্কুল থেকে পাড়ার মোড়ে, নানা রকম নাটক বা পথসভার মাধ্যমে গাধা বা খচ্চরদের সম্পর্কে সচেতনতা ছড়ায় তারা। তবে সংস্থার উত্‍পত্তি কিছু বিলেতে। ১৯৬৯ সালে পশুপ্রেমি এবং চিকিত্‍সক ডা. এলিজাবেথ স্ভেন্ডসেন ইংল্যান্ডের ডেভন অঞ্চলে ৭টি গাধাকে অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় উদ্ধার করেন। নিজের বড় ফার্ম হাউজে নিয়ে আসেন এবং চিকিত্‍সা করে ওদের সুস্থ করে তোলেন। ধীরে ধীরে এদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ১৯৭৩ সালে দাতব্য সংস্থা হিসাবে রেজিস্টার্ড হয় ডঙ্কি স্যাঙ্কচুয়ারি। শীঘ্রই ডা. এলিজাবেথ গ্রিস এবং তুরস্কে সংস্থার শাখা প্রতিষ্টা করেন। ১৯৭৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল ডঙ্কি প্রোটেকশন ট্রাস্ট গঠিত হয়। এর পর ধীরে ধীরে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও সংস্থার শাখা খোলা হয়। ভারতে সংস্থা যাত্রা শুরু করে ১৯৯৮ সালে। ২০০২ সালে দাতব্য সংস্থা হিসাবে রেজিস্ট্রেশন হয়। মূলত দেশের ৫টি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে কাজ করে ডিএসআই। দিল্লি, আমদাবাদ, গোয়ালিয়র/ রাজাখেড়া, শোলাপুর এবং সিকর। এরা স্থানীয় বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে মিলে কাজ করে। এই প্রাণীদের চিকিত্‍সা থেকে খাওয়া-দাওয়া এবং যত্ন নেওয়ার যাবতীয় ব্যাপার শেখান এরা। সূত্র: এই সময়
×