ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে বেতার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ১৭ মে ২০১৬

কক্সবাজারে বেতার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ উপজেলা সংবাদদাতাদের নামে সম্মানী ভাতা উত্তোলন করে আত্মসাত, দেড় বছর আগে চাকরি ছেড়ে দেয়া শিল্পীর স্বাক্ষর জাল করে সম্মানী ভাতা উত্তোলন, নিয়মিত ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি, প্রতিবাদকারীদের চাকরিচ্যুত করার হুমকি, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্ব্যবহারসহ ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার কেন্দ্রের সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক মোঃ হেমায়েত আকবর টিপুর বিরুদ্ধে। এমনকি সংবাদ প্রচারের নামে সরকারের অন্তত দশ লাখ টাকা অপচয়ের অভিযোগও রয়েছে বেতারের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও সংবাদদাতাদের বেতন বকেয়া রেখে, ভুয়া বিল ভাউচার করে অনিয়মিত শিল্পীদের নামে সম্মানী ভাতা, গাড়ি ব্যবহার না করে জ্বালানি তেলের টাকা উত্তোলন, বিভিন্ন উপজেলার সংবাদদাতাদের নামে অতিরিক্ত সম্মানী ভাতা উত্তোলন করে আত্মসাত, বেতার অফিসে কর্মরত নেই- এমন অস্থায়ী কর্মচারীদের নামে বেতন উত্তোলন করে টাকা আত্মসাতসহ আরও বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ ও প্রতিকার চেয়ে ৬ উপজেলা সংবাদদাতা ও একজন ভুক্তভোগী নারী কর্মচারী বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন জানিয়েছেন। ২০১২ সালে কক্সবাজার কেন্দ্রে যোগদান করলেও পাঁচ বছর ধরে চেয়ার আঁকড়ে ধরে রয়েছেন এই কর্মকর্তা। তাকে অন্যত্র বদলি করা হলেও বিশেষ তদবিরে বর্তমান কর্মস্থলে থেকে গেছেন তিনি। সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক মোঃ হেমায়েত আকবর টিপু এসব অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন। চাপাদহ বিল ফের অমৎস্যজীবীদের কবলে সংবাদদাতা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর ॥ সাতৈর ও ঘোষপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত চাপাদহ বিলের তিন পাড়ের পাঁচ শতাধিক জেলে পরিবার শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। বেঁচে থাকার অবলম্বন বিলটি এক শ্রেণীর কুচক্রী মহল অমৎস্যজীবীদের নামে লিজ নেয়ায় তাদের চোখ-মুখে হতাশার ছাপ। জেলেপাড়ার প্রবীণ সদস্যরা জানান, দেড় থেকে দুই শ’ বছর ধরে জেলেরা জাল যার জলা তার নীতিতে চাপাদহ বিলে মাছ চাষাবাদ ও আহরণ করে আসছিল। ১৯৬০ সালে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের নিয়ে ‘বিল চাপাদহ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি’ নামে সংগঠন গড়ে তুলে বিল চাপাদহ ভোগ করে আসছিল। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালে সংগঠনটি নিবন্ধিত হয়। তারা আরও জানান, ৮৫ একর সরকারী খাস জমির জলাভূমিটি বর্ষা মৌসুমে কয়েক মাস ধরে বিশাল এলাকাজুড়ে জলমগ্ন থাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের অন্যতম মাধ্যমে পরিণত হয়। প্রকৃত মৎস্যজীবী আশুতোষ বিশ্বাস জানান, ২০০৪ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে জনৈক বিএনপি নেতার মদদে ‘বিজিবি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামের সংগঠন তৈরি করে বিলটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। কয়েক বছর বিলটি দখলেও রাখে তারা। পরবর্তীতে বিলটি পুনরায় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের দখলে আসে। এ বছর ওই চক্রটি গোপনে আঁতাত করে বিলটি ‘বিজিবি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড’-এর সাধারণ সম্পাদকের নামে লিজ নেয়। প্রকৃত মৎস্যজীবীদের সংগঠন বিল চাপাদহ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নিরাঞ্জন বিশ্বাস জানান, বিলটি অমৎস্যজীবীদের হাতে চলে যাওয়ায় দুই সহস্রাধিক নারী-পুরুষ-শিশু শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
×