স্টাফ রিপোর্টার ॥ সীমান্তে হত্যাকান্ডের ঘটনা বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী যৌথভাবে তদন্ত করবে। এখন থেকে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে জন্য উভয়দেশই সতর্ক ও সংযত থাকবে।
সোমবার ছয়দিন ব্যাপী সীমান্ত সন্মেলন শেষে যৌথ সংবাদ সন্মেলনে এমনই অঙ্গীকার প্রকাশ করেন বিজিবি ও বিএসএফ-এর মহাপরিচালকদ্বয়। এ সময় বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমদ বলেন, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য আমরা কাজ করেছি। সীমান্তে হত্যাসহ যে কোন ঘটনা ঘটলে দুদেশ যৌথভাবে তার তদন্ত করবে।
সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গায় এক কৃষককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন বিএসএফ মহাপরিচালক কে কে শর্মা। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় বিএসএফের সাত সদস্য জড়িত থাকার অভিযোগ উঠায় তাদের সাময়িক বরখা¯ত করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী তাদের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ছয়দিন ব্যাপী এই সম্মেলনে সীমান্তে চোরাচালান, মাদক পাচার এবং পারস্পারিক আস্থার বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়।
এবারের সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং বিএসএফ মহাপরিচালক কে কে শর্মার নেতৃত্বে ২০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।
এতে সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের গুলি,হত্যা,আহত করা, ওপার থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, এ্যালকোহল, গাঁজা, হেরোইন এবং ভায়াগ্রা, সেনেগ্রা ট্যাবলেটসহ অন্যান্য মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান বন্ধ, বাংলাদেশী নাগরিকদের আটক, অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম, অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচার, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ, উভয় দেশের সীমান্তের নদীর তীর সংরক্ষন কাজে সহায়তা এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে বিস্তাারিত আলোচনা হয়।
উভয় বাহিনীর মহাপরিচালক এই সম্মেলনের সফলতার বিষয়ে নিজেদের সন্তোষ্টি প্রকাশ করেন। উভয়পক্ষই ভবিষ্যতেও সীমান্তে পারস্পরিক সৌহার্দ, শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার বিষয়ে নিজেদের অঙ্গিকার পূণর্ব্যক্ত করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: