ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সোনারগাঁয়ে হামলায় আহত ১৫

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ১৫ মে ২০১৬

সোনারগাঁয়ে হামলায় আহত ১৫

নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ১৪ মে ॥ সোনারগাঁওয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচারের সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ দেওয়ান ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ দেওয়ান অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেওয়ান উদ্দিন চুন্নুর সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে উপজেলার চৌরাপাড়া গ্রামে। জানা গেছে, শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দ শেষে বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ দেওয়ানের সমর্থকরা লাধুরচর এলাকায় প্রচারণা চালাতে যায়। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের মারধর করে মাইক ভেঙ্গে ফেলে। এ ঘটনায় ইউসুফ দেওয়ান নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চৌরাপাড়া মোড় এলাকায় শুক্রবার রাতে একটি প্রতিবাদ সভা করে। ওই প্রতিবাদ সভায় হামলা চালিয়ে ইউসুফ দেওয়ান ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ করা হয়। কালাইয়ে সংঘর্ষে আহত ৬ নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট থেকে জানান, কালাই উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জিন্দারপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর হামলা পাল্টা হামলায় ৬ জন আহত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, কালাই উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দের পর জিন্দারপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আাব্দুস সোবাহানের লোকজন ইটাইল গ্রামে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউর রহমান জিয়ার অফিসের দেয়ালে নৌকা মার্কা পোস্টারের পাশে আনারস মার্কা পোস্টার লাগালে নৌকা মার্কা নির্বাচনী অফিস থেকে কয়েকজন বেরিয়ে এসে তাদের পোস্টারের পাশে পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদ করে এবং চড় থাপ্পড় মারে। এই খবরটি ছড়িয়ে পড়লে আব্দুস সোবানের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে সংগঠিত হতে থাকে পাশাপাশি জিয়াউর রহমানের লোকজনও সংগঠিত হতে থাকে। এক সময় মোলামগাড়ী হাটে দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে জিয়াউর রহমানের লোকজন আব্দুস সোবানের ওপর হামলা চালায় এবং তাকে বেদম মারধর করে। এ সময় দুই পক্ষের মারপিটের ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়। পুড়ে যাওয়া যানবাহনের ক্ষতিপূরণ ২৩ লাখ নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ থেকে জানান, ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনী সহিংসতায় পুড়ে যাওয়া ৩টি যানবাহনের ক্ষতিপূরণ বাবদ সাড়ে ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে রূপগঞ্জ ইউএনও এবং রূপগঞ্জ ওসিকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই মেম্বার প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাণ্টা ধাওয়া, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক রিকুইজিশন করা নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রেবাস ২টি লেগুনাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। রাজারহাটে শ্লীলতাহানি স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে জানান, ৪র্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এক নারী কর্মীকে ঘরে আটকে রেখে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, ৪র্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী বুলু (চশমা প্রতীক)-এর হয়ে কাজ করে এ ইউনিয়নের বড় গ্রাম এলাকার লাভলু মিয়ার স্ত্রী নারী কর্মী ফিরোজা বেগম। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাদেকুল হক নুরু পরাজিত হয়। পরাজয়ের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নানাভাবে নির্যতন করে চলছে তার লোকজন। নির্বাচনের ৪ দিন পর স্বতন্ত্র প্রার্থীর নারী কর্মী ফিরোজা বেগম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাবার বাসার উদ্দেশে রওনা দিলে পথিমধ্যে ছিনাই বড় গ্রামের নুরুর সমর্থক মজিবর, মোজাম্মেল, জাহাঙ্গীর, কাদের, মনজু, মেহের চাঁদ ও সাইদুল নারী কর্মী ফিরোজাকে তুলে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী মজিবরের বাড়িতে আটকে রাখে এবং তাকে শ্লীলতাহানি ঘটায়। মির্জাপুরে ৫ বিদ্রোহী প্রার্থীকে নোটিস নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর থেকে জানান, দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার অপরাধে ৫ আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত নোটিসের মাধ্যমে তাদের বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানসহ আরও ৯ নেতাকে সতর্কীকরণ নোটিস দেয়া হয়েছে। বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন আনাইতারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল ময়নাল, আনাইতারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মিজানুর রশিদ আবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহেল শাফি, জামুর্কী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু মতিন ফাক্কন এবং মহেড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাদশা মিয়া। দিনাজপুরে ৯ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকে জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার অপরাধে বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ৯ বিদ্রোহী প্রার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপির উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বহিস্কৃতরা হলেন বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ গোবিন বর্ম্মন, সাধারণ সম্পাদক দেবেশ চন্দ্র রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল দেব শর্ম্মা, নির্বাহী সদস্য পরেশ চন্দ্র রায়, নির্বাহী সদস্য জনক চন্দ্র অধিকারী, আওয়ামী লীগ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, আওয়ামী লীগ সদস্য হরমত আলী, আওয়ামী লীগ সদস্য খালেক সরকার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ম-লীর সদস্য সুরেন্দ্র নাথ রায় কোকিল। কেশবপুরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ছে নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর থেকে জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেশবপুরে আওয়ামী লীগের ভেতর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ছে। এগারটি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। এ কারণে আগামী ২৮ মে নির্বাচনকে ঘিরে একে অপরকে দাবিয়ে রাখতে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিএনপির একক প্রার্থীরা নির্বাচনী ফায়দা লুটে নিতে একটুও ভুল করছেন না। নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা, ভাংচুর ও সংঘর্ষের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। প্রার্থীদের অভিযোগ ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় কেশবপুরের হাসানপুর ইউনিয়নের হাসানপুর বাজারে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবু শাহিন ও তার লোকজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলতাফ হোসেনের সমর্থক শাহাজান আলী, জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুল কাশেমকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক যখম করে। কচুয়ায় তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জরিমানা নিজস্ব সংবাদদাতা কচুয়া, চাঁদপুর থেকে জানান, বিধি ভঙ্গের দায়ে কচুয়ায় তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও এক মেম্বারকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার সন্ধ্যায় আচরণবিধি ভঙ্গ করে মিছিল করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুলক কুমার ম-ল কচুয়া সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ রবিউল ইসলাম রাসেল, কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছেদুজ্জামান বাচ্ছু সরকার, পূর্ব সহদেবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল সর্দারসহ প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা ও সাচার ইউনিয়নের মেম্বার প্রার্থী মজুল ভূইয়াকে ২ হাজার টাকার দ-াদেশ প্রদান করেন।
×