ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে আ’লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ১৫ মে ২০১৬

চট্টগ্রামে আ’লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের দায়ে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে গ্রেফতারের ঘটনায় মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব দিন দিন বাড়ছে। প্রকাশ্যে বিরোধিতা না করলেও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিপক্ষ বলয়ের নেতাকর্মীরা ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মহিউদ্দিন চৌধুরী বলয়ের নেতাকর্মীরা বিষয়টি বুঝতে পারলেও তারা বিপরীত পক্ষকে দোষারোপ করছেন না। রনিকে মুক্ত করতে তারা কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছেন। তবে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলয়ের বেশ কয়েক নেতাকর্মী অভিযোগ করেছেন, তাদের বিপক্ষের প্রভাবশালী একজন নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে চাপে রাখতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাজানো ঘটনায় রনিকে ফাঁসানো হয়েছে। সাধারণ ছাত্রদের প্রতীক সাবেক মেয়রের বিশ্বস্ত কর্মী প্রভাবশালী এ ছাত্র নেতা কারাগারে থাকলে তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়বেন এমন চিন্তা এবং রনির রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীদের নির্বিকার থাকতে দেখা গেছে। রনির মুক্তির জন্য আয়োজিত কোন কর্মসূচীতে তাদের দেখা যায়নি। চসিক মেয়র নিজেও এ ব্যাপারে নিশ্চুপ রয়েছেন। রনিকে গ্রেফতারের ঘটনায় তিনি কোন মন্তব্য করেননি। মহানগর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও পক্ষে বিপক্ষের এ অভিযোগ উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রনিকে গ্রেফতারের ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে নগরীর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে নগর ছাত্রলীগ। সম্মেলনে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু বলেন, রনিকে গ্রেফতার, দুই বছরের কারাদ- ও অস্ত্র আইনে মামলার পিছনে নগর আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতার দূরত্ব নয় বরং প্রশাসনের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা জামায়াত এজেন্টই দায়ী। এদিকে দুই নেতার দূরত্বের বিষয়টি উড়িয়ে দিলেও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু বিষয়টিকে পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন। মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী নেতাকর্মীরা রনির গ্রেফতারের সঙ্গে জড়িত ম্যাজিস্ট্রেট ও হাটহাজারী থানার ওসির বিরুদ্ধে ছাত্র থাকা অবস্থায় শিবির সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেছেন। তারা অভিযোগ করেন, ‘জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুন-অর-রশিদ সিলেট থেকে এসে ১৯৯৯-২০০০ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদে ভর্তি হন। শুরুতেই তিনি ইসলামী ছাত্রশিবির অধ্যুষিত শাহ আমানত হলে উঠেন। ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হাটহাজারী থানার ওসি ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, তিনি চবিতে পড়ার সময়ে ক্যাম্পাসের চিহ্নিত হামিদ গ্রুপের সদস্য ছিলেন। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের ক্যাডার হিসেবে আবির্ভূত হন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী নিজেও বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। রনির মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি রনিকে মুক্ত করতে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রনিকে মুক্ত করতে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন এই নেতা।
×