ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

লাল টকটকে লিচুর পরিবর্তে গ্রামের লিচুর কদর বেশি

প্রকাশিত: ০১:৪৭, ১৪ মে ২০১৬

লাল টকটকে লিচুর পরিবর্তে গ্রামের লিচুর কদর বেশি

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ মৌসুমী ফলে বাজার সয়লাব। এরইমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লাল টকটকে রসালো লিচু। যা দেখলেই জিভে জল এসে যায়। কিন্তু ফরমালিন আতংকে ওইসব লাল টকটকে লিচুকে পরিহার করেছেন বরিশাল জেলা শহরসহ উপজেলা পর্যায়ের শৌখিন ক্রেতারা। যে কারনে দেখতে লাল টকটকে না হলেও গ্রামাঞ্চলের বাড়ির আঙ্গিনা বা মাছের ঘেরের পাড়ে উৎপাদিত লিচুর কদর বৃদ্ধি পেয়েছে সর্বত্র। লিচু বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে। সচেতন নগরবাসীর মতে, মধু মাসের ফল লিচু বাজারে উঠতে শুরু করেছে। লাল টকটকে আকারের বড় এ লিচু প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন হয়নি। কীটনাশক ও হরমোন স্প্রের মাধ্যমে অপরিপক্ষ লিচু পাকানো হচ্ছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। লিচু ব্যবসায়ীরা জানান, গ্রামাঞ্চলের লিচু গাছ থেকে লিচু পাড়ার পর ২০ ও ৫০টি করে আঁটি বেঁধে বিক্রির জন্য বিভিন্ন বাজারে আনা হয়। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের লিচুর কদর বেড়ে যাওয়ায় এক’শ লিচু ২ থেকে ৩’শ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ফরমালিন দিয়ে রং বৃদ্ধি ও পাকানোর আতংকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা লাল টকটকে রসালো লিচু ছুঁয়েও দেখছেন না ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা আরও জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অসংখ্য লিচুর ছোট ছোট বাগান রয়েছে। অধিকাংশ লিচু গাছে গত ২/৩ বছরের তুলনায় এবছর লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। রোদের তাপ ও খুব বেশি বৃষ্টি না হওয়ায় এবার গত বছরের তুলনায় লিচুর সাইজ একটু ছোট হয়েছে। ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ বৈদ্য জানান, তিনি আগৈলঝাড়ার বাকাল এলাকার দশটি বাগানের লিচু ক্রয় করেছেন। স্থানীয় লিচু উত্তরাঞ্চলের লিচুর চেয়ে একটু কম মিষ্টি হলেও সচেতন মানুষের কাছে এর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। গ্রামাঞ্চলের ওইসব লিচু গাছে বাদুড় ও কাকের উপদ্রপ থেকে লিচু রক্ষা করতে তিনি লোক দিয়ে পাহারা বসিয়েছেন। এছাড়াও বাঁশ কিংবা টিনের তৈরি বিশেষ বাজনা বাজিয়ে উচ্চঃস্বরে শব্দ করে তাড়ানো হচ্ছে কাক ও বাদুড়। রাতের বেলায় লিচু গাছে জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে বৈদ্যুতিক বাতি। স্থানীয় লিচুর চাহিদা থাকায় ব্যবসায়ীরা এবার লাভবান হচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
×