ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হাওয়ালায় টাকা পাচার নিয়ে জেরা কাহালোঁকে

প্রকাশিত: ২০:০৩, ১৪ মে ২০১৬

হাওয়ালায় টাকা পাচার নিয়ে জেরা কাহালোঁকে

অনলাইন ডেস্ক ॥ গ্রেফতার হয়েছিলেন ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে। এ বার কলকাতা বন্দরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাজপাল সিংহ কাহালোঁর বিরুদ্ধে হাওয়ালায় টাকা পাচারের অভিযোগ আনছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। হাওয়ালা কারবারের সঙ্গে যুক্ত, সল্টলেকের এক অবাঙালি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে রাজ্যের এই আইএএস অফিসার কয়েক কোটি টাকা বিদেশে পাঠিয়েছেন বলে তদন্তে জেনেছে ইডি। শুক্রবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিজেদের অফিসে ডেকে কাহালোঁকে জেরা করেন ইডি অফিসারেরা। মার্চে ধর্মতলার এক পাঁচতারা হোটেলে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কাহালোঁকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। সেই মামলায় মাসাধিক কাল তাঁকে জেলে থাকতে হয়। আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত। ইতিমধ্যে তাঁকে কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান-পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এখন তিনি রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের পদে রয়েছেন। তদন্তে নেমে কাহালোঁর তরফে বিদেশে টাকা পাচারের কথা জানতে পারে ইডি। প্রাথমিক তদন্তে ইডি জেনেছে, পাঁচ বছর ধরে বন্দরের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ঘুরপথে প্রচুর টাকা রোজগার করে তা বিদেশে পাঠিয়েছেন কাহালোঁ। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী অস্ট্রেলীয়। তাই প্রাথমিক ভাবে বেআইনি ভাবে রোজগার করা টাকা অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সূত্রে বৃহস্পতিবার কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র জোগাড় করেছে ইডি। কাহালোঁর নিজের বাড়ি ও অফিস ছাড়াও কলকাতার এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের অফিস এবং বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ইডি সূত্রের খবর, ওই সব জায়গা থেকে এমন কিছু নথিপত্র আটক করা হয়েছে, যা থেকে কাহালোঁর বিদেশে টাকা পাঠানোর প্রমাণ স্পষ্ট। এই প্রসঙ্গেই উঠছে সল্টলেকের ওই অবাঙালি ব্যবসায়ীর নাম। এই নিয়ে সেই ব্যবসায়ী এবং কাহালোঁর স্ত্রীকেও জেরা করতে চায় ইডি। পুলিশি সূত্রের খবর, ১৯৮৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার কাহালোঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ঘুরপথে টাকা নেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তক্কে তক্কে ছিল পুলিশ। ৯ মার্চ ধর্মতলার একটি পাঁচতারা হোটেলে তাঁর সঙ্গে বড় অঙ্কের টাকার লেনদেন হবে খবর ছিল লালবাজারের কাছে। সেই অনুযায়ী ফাঁদ পাতা হয়। ২০ লক্ষ টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ হস্তান্তরের সময় ধরা পড়েন কাহালোঁ। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় জগতাপ দত্তাজি নামে এক ব্যবসায়ীকে। তখনকার বন্দর-প্রধান কাহালোঁর অভিযোগ, এক চলচ্চিত্র ব্যবসায়ী বন্দরের জমি জবরদখল করে রেখেছিলেন। বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি মুখ্যমন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ ওই ব্যবসায়ীকে বন্দরের জমি থেকে উৎখাত করেন। তারই বদলা নিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×