ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পান্থ আফজাল

মেরিলিন মনরো বিশ্ব মাতানো অভিনেত্রী

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১৩ মে ২০১৬

মেরিলিন মনরো বিশ্ব মাতানো অভিনেত্রী

মেরিলিন মনরোকে মানুষ কত ভালবাসত তা বলে বুঝানোর কিছু নেই। মনরোর মৃত্যুর পর শুধু আমেরিকার আত্মহত্যার হার ১২% বেড়ে গিয়েছিল। স্থানটা ছিল ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলস কাউন্টি হাসপাতাল। ১৯২৬ সালের ১ জুন এই হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন কালজয়ী এই অভিনেত্রী। তার মায়ের নাম গ্লাডিস পার্ল বেকার। তার মায়ের একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় তার প্রকৃত বাবার পরিচয় কখনো জানা যায়নি। তবে মেরিলিন মনরো জন্মের আগে থেকেই তার মায়ের মানসিক ভারসাম্য নিয়ে সমস্যা ছিল। মানসিক ভারসাম্য ঠিক থাকলে হয়ত বা তিনি বলতে পারতেন। মেরিলিন মনরো নামে বিখ্যাত এই মানুষটিকে আমরা চিনলেও তার আসল নাম ‘নরমা জেন মর্টেনশন’। খুব কম বয়সেই মনরো বিয়ে করেন। এতিমখানার জীবন মনরোর মোটেও ভাল লাগছিল না। তাই ১৯৪২ সালের ১৯ জুন তার বয়স যখন ১৬ বছর তখন এক এয়ারক্রাফট প্লান্টে কাজ করা এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। ভদ্রলোকের নাম ছিল ‘জেমস ডোগার্থি’। ১৯৪৫ সালে ১ম স্বামী জেমস ডোগার্থির সহায়তায় এরোপ্লেন পার্টস কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মনরো। অসাধারণ গ্ল্যামার আর শারীরিক অভিব্যক্তির কারণে অল্প সময়েই ওই প্রতিষ্ঠানটির উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে যান। ওই কোম্পানির শো-গার্ল হিসেবে প্রথম তিনি মডেলিং করেন। এরপর পরই পাল্টে যেতে থাকে তার জীবন। এরপর ফটোগ্রাফার ডেভিড কনোভার একটি পত্রিকার জন্য মনরোর একটি ছবি তোলেন। সে ছবি প্রশংসিত হয় বিভিন্ন মহলে। এরপরই মনরোর ডাক আসে মডেলিং দুনিয়ার বড় বড় এজেন্সি থেকে। ফটোজেনিক মেরিলিন মনরোর ছবি বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হতে থাকে। মনরোর ১ম স্বামী বিষয়টিকে ভালভাবে নেননি। তিনি মনরোর মডেলিং করার বিপক্ষে ছিলেন। তাই তিনি মনরোকে কঠিনভাবে জানিয়ে দেন যে, সংসার করতে হলে মডেলিং তাকে ছাড়তে হবে। শেষ পর্যন্ত মডেলিংয়ের ভবিষ্যত সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে মডেলিংটাকেই বেছে নেন মনরো। অভিনয় জীবনের শুরুতেই তিনি তার ব্রাউনিস কালার চুলকে পরিবর্তন করে তাতে প্লাটিনাম হোয়াইটের এক আভা আনেন, যা তার ট্রেডমার্ক বলা চলে। আর তার নতুন নাম হয় মেরিলিন মনরো। ১৯৪৫ সালের দিকে টুকটাক মডেলিং দিয়ে নিজের আগমন বার্তা জানান দেন বিশ্ববাসীকে। ১৯৪৭ সালে ২০ঃয ঈবহঃঁৎু-ঋড়ী স্টুডিওর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন মনরো এবং অতিথি শিল্পী হিসেবে দুটি ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পান। (চলবে)
×