ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিরামিক পণ্যে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখার দাবি

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১২ মে ২০১৬

সিরামিক পণ্যে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখার দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আসন্ন বাজেটে আমদানি পর্যায়ে সিরামিক পণ্যের (টাইলস, টেবিল ওয়্যার ও স্যানিটারি ওয়্যার) ওপর বিদ্যমান ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে সিরামিক ওয়্যারস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশন। বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানানো হয়। এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সিরামিকস পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হওয়ায় আমি গর্বিত। এ সরকারের আমলে দেশের সিরামিকস সেক্টরের রিয়েল ডেভেলপমেন্ট হয়েছে। আলোচনায় জানানো হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ এ সিরামিক টাইলসের ওপর আমদানি ও দেশের পণ্যে সমান হারে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশে উৎপাদিত পণ্যে ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ এবং আমদানি পণ্যে ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আমদানিকারকরা ৯ শতাংশ শুল্ক হ্রাসের সুবিধা পাবে। অন্যদিকে আমদানি পণ্যের চেয়ে দেশীয় পণ্যের মূল্য ৩৬ শতাংশ বাড়বে। তাই আমদানি পর্যায়ে সিরামিক পণ্যের ওপর বিদ্যমান ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়। সিরামিক শিল্পের কাঁচামাল, উপকরণ ও যন্ত্রাংশের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক হ্রাস এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সমুদয় সম্পূরক শুল্ক ও রেগুলেটরি ডিউটি মওকুফ করার প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া আন্ডারইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে বিদেশী সিরামিক পণ্য আমদানিজনিত অসম প্রতিযোগিতা থেকে দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করতে ফিনিশড সিরামিক পণ্যের ওপর আমদানি ট্যারিফ মূল্য বা সর্বনিম্ন আমদানি মূল্য নির্ধারণ করার দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। চার কাস্টমস হাউসে কন্টেনার স্ক্যানার বসছে অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বৈধ ব্যবসায় সহায়তা ও অবৈধ মালামাল বহন প্রতিরোধে দেশের ৪ কাস্টমস হাউসে ম্যানুয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে কন্টেনার স্ক্যানার বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বেনাপোল, চট্টগ্রাম, কমলাপুর আইসিসিডি ও মংলা কাস্টমস হাউসে এ মোবাইল কন্টেনার স্ক্যানার বসানো হচ্ছে। বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর ভবনে চীন সরকারের সহায়তায় ৪ কাস্টমসের জন্য কেনা কন্টেনার স্ক্যানার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে ‘রাজস্ব ও নিরাপত্তায় স্ক্যানিংয়ের গুরুত্ব’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার হোসেন আহমেদ। তিনি বলেন, কাস্টমস হাউসগুলোতে কন্টেনার স্ক্যানার স্থাপন করা হলে কার্গো হ্যান্ডেলিং সহজতর ও নিরাপদ হবে এবং সময় কম লাগবে। এছাড়া কাস্টম হাউসগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, যা বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে। হোসেন আহমেদ বলেন, পণ্যের দ্রুত খালাস নিশ্চিতকরণে স্ক্যানারের ব্যবহার খুবই জরুরী। স্ক্যানারগুলো বসানো হলে কন্টেনার স্ক্যানিংয়ে হাতের স্পর্শ অনেকাংশে কমে আসবে। এতে বাণিজ্য আরও সহজ হবে। তিনি আরও বলেন, কাস্টমস হাউসে অনেক সময় অবৈধ মালামাল পরিবহনের সন্দেহে বড় বড় ল্যাগেজ খোলা হয়। এতে অনেক সময় ব্যয় হয়। কিন্তু স্ক্যানার বসালে লাগেজ খোলা লাগবে না। অবৈধভাবে কেউ যদি কোন পণ্য বাইরে থেকে নিয়ে আসতে চায় তাহলে তা সহজেই ধরা পড়বে। অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ চার কাস্টমস হাউসে আধুনিক স্ক্যানার বসানোর মাধ্যমে কাজের গতিশীলতার ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এর সঙ্গে রাজস্ব বোর্ডের সক্ষমতাও বৃদ্ধি পেল। ১১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের অনুদানই বেশি ছিল। এজন্য বন্ধু রাষ্ট্র চীনের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
×