ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ছাত্ররা এগিয়ে

প্রকাশিত: ০৪:০০, ১২ মে ২০১৬

চট্টগ্রামে ছাত্ররা এগিয়ে

আহমেদ হুমায়ুন, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে। এবার শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ১৩ হাজার ৭০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭ হাজার ৬৬৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। অপরদিকে এ বছর মোট পান করেছে ৯০ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। এবার শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৮৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ৭০জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে ১ লাখ ২ হাজার ২৬১ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্ররা বেশি পাস করেছে। ছাত্রদের পাসের হার ৯০ দশমিক ৯৭ শতাংশ, যেখানে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এবার ৫২ হাজার ১৯৮ জন ছাত্রের মধ্যে ৫২ হাজার ১৪৩জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করে ৪৭ হাজার ৪৩২ জন। অপরদিকে ৬১ হাজার ৮৮ ছাত্রীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৬০ হাজার ৯২৬ হাজার জন। এদের মধ্যে পাস করেছে ৫৪ হাজার ৮২৮ জন। এদিকে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও বিজ্ঞান শাখার ছাত্র-ছাত্রীরা ভাল ফলাফল করেছে। বিজ্ঞান শাখা থেকে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯১ শতাংশ, যেখানে মানববিদ্য শাখায় পাসের হার ৮৩ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পাসের হার ৯১ দশমিক ৬২ শতাংশ। বুধবার সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে বোর্ড সচিব অধ্যাপক ড. পীযূষ দত্ত, সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট কিবরিয়া মাসুদ খান উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক ড. পীযূষ দত্ত জানান, এবার তিন পার্বত্য জেলা এবং মানবিক বিভাগে শিক্ষার্থীরা ভাল ফল করেছে। ফলাফলে দেখা গেছে এবার চট্টগ্রাম মহানগরে পাস করেছে ৯৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। জেলায় এ হার ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ২৭, রাঙামাটিতে ৮৪ শতাংশ, খাগড়াছড়িতে ৭৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং বান্দরবানে ৮২ দশমিক ৬৪ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৮৮ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী শতভাগ পাস করেছে। যেখানে চারটি প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী পাস করেছে। স্কুলগুলোর মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল নালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, পাবলাখালি শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, পুগাঙ্গমুখ উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঠাকুরছড়া উচ্চ বিদ্যালয়। এ চারটি প্রতিষ্ঠানে যথাক্রমে ৪৫ দশমিক ৭২ শতাংশ, ৪৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ৩৫ দশমিক ৫৮শতাংশ এবং ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করে। চট্টগ্রাম বোর্ডে সেরা ১০ স্কুল ॥ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় ১ম স্থানটি এবারও অক্ষুণœœ রেখেছে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। এবার কলেজিয়েট স্কুলে শতভাগ পাসের পাশাপাশি ৪০২ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে ৩৭৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। সেরা স্কুলের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম সরকারী মুসলিম হাইস্কুল। এ স্কুলে ৪১৪ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩৮ শিক্ষার্থী। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এই স্কুলের ৩১৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাস করে। এদের মধ্যে ২৮০ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। চতুর্থ স্থানে রয়েছে নাসিরাবাদ সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৩৮৫জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ২৬৪জন জিপিএ-৫ পেয়েছে আর পাস করেছে ৩৪২ শিক্ষার্থী। পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (বাওয়া স্কুল)। এ স্কুল থেকে ৪১২ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫৬জন, পাস করেছে ৪১০ শিক্ষার্থী। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম সরকারী হাইস্কুল। এ স্কুলের ৩২২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩২১ জন। জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ২১৯। সপ্তম স্থানে চট্টগ্রাম সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুলের ২৭৯ জনের মধ্যে সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১৯২ জন। অষ্টম স্থানে নৌবাহিনী হাইস্কুল। এ স্কুল থেকে ৫১৭ জন পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫১০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯২ জন। নবম স্থানে অর্পণাচরণ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুলের ২৪৮ জনের মধ্যে ২৪৭ জনই উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১৪০ জন। দশম স্থানে রয়েছে সিলভার বেলস গার্লস হাইস্কুল। এ স্কুলের ১৬৯ জনের মধ্যে সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১৩৩ জন। পরীক্ষায় ফেল করে আত্মহত্যা স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় বরিশাল উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সত্যজিত ঘোষ সিজান ওরফে হৃদয় (১৭) নামের এক ছাত্র বুধবার দুপুরে আত্মহত্যা করেছে। সে নগরীর কাঠপট্টি এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী শেখর ঘোষের ছেলে। জানা গেছে, বেলা আড়াইটার দিকে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদয় মৃত্যুবরণ করে। এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার খবর জানতে পেরে বাড়িসংলগ্ন প্যারারা রোডের একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে সে গুরুতর আহত হয়।
×