ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাড়ার লোকও বিস্মিত

সিঙ্গাপুরে জঙ্গী সন্দেহে আটক জসিম!

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ১০ মে ২০১৬

সিঙ্গাপুরে জঙ্গী সন্দেহে আটক জসিম!

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ সিঙ্গাপুরে জঙ্গী সন্দেহে গ্রেফতার জসিমের পরিবার বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। পরিবার কেন গ্রামের লোকজনও বিস্মিত! পরিবারের কেউ কল্পনাও করতে পারেনি জঙ্গীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে জসিমের। অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশুনার সময়ই সিঙ্গাপুরে যান জসিম। সেখানে কাজ করছেন চার বছর ধরে। এলাকায় ছোট বেলা থেকে ভাল ছেলে হিসেবে পরিচিত জসিম। পরিবারের ছোট ছেলে জসিমের এ পরিণতিতে নির্বাক তার বৃদ্ধ মা জগুনা বেগম। মায়ের কথা বলতে গিয়ে বুক ফেটে যাচ্ছিল। আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, মানুষ সন্দেহ করে এটি করেছে। অনর্থক জেল খাটাচ্ছে। সিঙ্গাপুরে পরীক্ষা দিয়ে ভাল রেজাল্ট করে। শত্রুতাবশত ওকে এর মধ্যে জড়িয়েছে। আটক হওয়ার আগের দিন সকালেও কথা হয়। বলে- ‘মা আমি পরীক্ষায় ভাল করেছি, এখন ছুটিতে দেশে আসতে পারব।’ কিন্তু চার বছর পরে দেশে এলো ঠিকই মায়ের সঙ্গে দেখা হলো জেলখানায়। গত মাসে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছেলের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সেই দৃশ্য বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন জগুনা বেগম। কাজে থেকে বাসায় আসছে মাত্র। এরই মধ্যে পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায়। সেই কাপড়েই দেশে ফেরত পাঠায়। জসিম কোনভাবেই এর সঙ্গে জড়িত না। আমার ছেলেকে আমি চিনি ও কখনও মিথ্যা কথা বলে না। কয়রায় বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি গ্রামের গাজীপাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রবিবার গভীর রাতে জোয়ারের পানির প্রবল চাপে দুর্বল বেড়িবাঁধের প্রায় একশ’ ফুট ভেঙ্গে কপোতাক্ষ নদে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধ ভেঙ্গে যওয়ার পর ওই স্থান দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে গাজীপাড়া, বেদকাশি, দেওয়ানখালিসহ ৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সোমবার সকালে কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুইশ শ্রমিক এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে আরও কিছু লোক বাঁধ মেরামতের কাজে যোগ দেয়। স্থানীয়রা জানায়, শ্রমিকদের অক্লান্ত চেষ্টা ও পরিশ্রমের ফলে দুপুর ১২টার দিকে ভাঙ্গন কবলিত এলকায় বিকল্প রিং বাঁধ তৈরি করা সম্ভব হলেও দুপুরে জোয়ারের সময় নদীতে পানির চাপ আরও বেড়ে যাওয়ায় নব নির্মিতি রিং বাঁধটি ভেঙ্গে গিয়ে হু হু করে লবণাক্ত পানি ঢুকে একের পর এক এলাকা নিমজ্জিত হতে থাকে। পানির তোড়ে শতাধিক চিংড়ি ঘের, চার শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি, ক্ষেতের তরিতরকারি ও বসত বাড়ির পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
×