ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উৎসে কর কমানোর দাবি চিংড়ি রপ্তানিকারকদের

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ৯ মে ২০১৬

উৎসে কর কমানোর দাবি চিংড়ি রপ্তানিকারকদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানির ওপর আরোপিত উৎসে কর কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ)। সংগঠনটি উৎসে কর শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে পোশাক শিল্পের ন্যায় শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) এ দাবি সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিএফএফইএ এর নির্বাহী পরিচালক আবুল বাশার । তিনি বলেন, কাঁচামাল সংকটের কারণে মাত্র ১৫ শতাংশ উৎপাদন ক্ষমতায় হিমায়িত প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলো পরিচালিত হচ্ছে। ফলে রপ্তানিকারা অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানি বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। এ কারণে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। রপ্তানিকারকরা কম দামে পণ্য বিক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের বিপরীতে ইউরো, রুবল ও ইয়েনের দাম কমে যাওয়ার প্রভাবও হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছের রপ্তানিমূল্যে পড়েছে। আবুল বাশার জানান, চিংড়ি ও মাছ পঁচনশীল পণ্য বিধায় এই পণ্যটির মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে হ্রাস হলেও ব্যাংক ঋণে ক্রয় হওয়ায় নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে রপ্তানি করতে হয়। হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিতে সরকার প্রদত্ত নগদ প্রনোদনার উপর ৫ শতাংশ আগাম আয়কর কর্তন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বিএফএফইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা এমবিএ বলেন, সরকারি নগদ সহায়তা কখনও প্রাইভেট কোম্পানির আয় হতে পারে না। বরং এটি উৎপাদন খরচেরই একটি অংশ। যা রপ্তানি মূল্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে সহায়তা করে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে সরকারি সেবা গ্রহণে মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য এবং অন্যান্য নমুনার জীবাণু ও রাসায়নিক পরীক্ষা, ইসি সনদ, অতিরিক্ত সনদ এবং লাইসেন্স গ্রহণে মূল্য সংযোজিত কর আদায় হতে অব্যাহতি চাওয়া হয়।
×