স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাবিহীন নির্বাচন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আকাশ কুসুম কল্পনা। ‘আমরা আগামীতে শেখ হাসিনাবিহীন নির্বাচন করব’ বেগম খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধানে কি লেখা আছে তা পড়ে দেখেন। সমগ্র উন্নত বিশ্বে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (সিলভার জুবলী) ও ২য় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। পুনর্মিলনী কমিটির আহ্বায়ক ডা. ইমরুল কায়েসের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নুরুল হক, হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন বলেই দেশের সব খাতে পরিবর্তন হচ্ছে। দেশ ও জাতির উন্নয়নের স্বার্থে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। এটা দেশবাসীর কাছে এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে শুধু ২০১৯ সালের নির্বাচন নয়, ২০২৪ সালের নির্বাচনেও জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এখনও দেশ, গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র অব্যহত রয়েছে। সবাইকে মনে রাখতে হবে জাতির পিতা যখন স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে সফল হচ্ছিলেন, তখন স্বাধীনতাবিরোধীরা চক্রান্ত করে তাকে সপরিবারে হত্যা করে। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন আবারও দেশের উন্নয়নকে নস্যাত করার চক্রান্ত চলছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র বলে বিদেশী সাহায্যের উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি কিছু উন্নয়ন সহযোগীরা শর্তরোপ করে উন্নয়ন খাতে অর্থবরাদ্দে বাধা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা কার কাছে মাথানত না করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।
আগামী বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে সরকার বিদেশী সাহায্যের ওপর নির্ভর করতে চায় না। নিজস্ব সম্পদ দিয়ে প্রত্যেকটি মানুষের ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চায়। এজন্য আগামী বাজেটে এই খাতে বাজেট বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হলে এলোপ্যাথি চিকিৎসার পাশাপাশি হোমিওসহ বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়নের উপর গুরুতারোপ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে যারা অপচিকিৎসা চালাচ্ছে তাদের খুঁজে বের করে প্রতিরোধ করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের এগিয়ে আসতে হবে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ইমেজ অক্ষু॥ণœ রাখতে হলে চিকিৎসকদেরই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘শেখ হাসিনা হেলথ কেয়ার’ কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে চিকিৎসার জন্য গরিবদের সর্বস্বান্ত হওয়া প্রতিরোধে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণের পাইলট প্রকল্পের সাফল্যের পর পর্যায়ক্রমে তা সারা দেশের গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।