ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে দ্বিতীয় দিনের মতো সূচক বাড়ল

প্রকাশিত: ০৪:২২, ৩১ মার্চ ২০১৬

পুঁজিবাজারে দ্বিতীয় দিনের মতো সূচক বাড়ল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দ্বিতীয় দিনের মতো মূল্যসূচকের উর্ধমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে উভয় পুঁজিবাজারের লেনদেন। বেশিরভাগ কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও বেড়েছে। বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইর সার্বিক সূচক বা বেড়েছে ২৩.৪৯ পয়েন্ট। মঙ্গলবার সূচক বেড়েছিল ৯.২২ পয়েন্ট। ফলে এ দু’দিনে সূচক বেড়েছে ৩২.৭১ পয়েন্ট। এর আগে টানা ৫ দিনের পতনে সূচক কমেছিল ১৪০ পয়েন্ট। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সূচকের উর্ধমুখী প্রবণতা দিয়েই শুরু হয় দিনের লেনদেন। তবে প্রায় আধ ঘণ্টার ব্যবধানে বেলা ১১টায় বিক্রি চাপে সূচকের তীর নিম্নমুখী হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ক্রয় চাপে ফের ঘুরে দাঁড়ায় বাজারে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত শেয়ার কেনার চাহিদা থাকায় ২৩.৪৯ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় দিনের লেনদেন। দিনশেষে সূচক গিয়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৩৩৫.২৯ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩১৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দিনশেষে দর বেড়েছে ১৪৩টির, কমেছে ১২২টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টির দর। বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিএসই মঙ্গলবারে দুই দফায় শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউসের সঙ্গে বৈঠক করে। এই বৈঠকে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ডে ট্রেডিং সেটেলমেন্ট, ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা সমন্বয়ের সময় বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন ব্রোকারেজ হাউসের প্রতিনিধিরা। এতে বুধবারে সকাল থেকেই বাজারে বেশিরভাগ কোম্পানির দরবৃদ্ধি দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। দিনশেষেও যা অব্যাহত ছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে গেলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পরে মূলত আর্থিক খাতের ওপর কিছুটা আস্থা কমে যাওয়ায় বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা ছিল। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো সমন্বিত উদ্যোগ নিলে বাজারে আস্থা ফিরে আসবে। এদিকে মঙ্গলবারের তুলনায় ৮২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বেড়ে দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩৮৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে কেডিএস এক্সেসরিজ। দিনশেষে কোম্পানিটির ২৬ কোটি ৯০ লাখ ৯২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আমান ফিডের লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ১৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। ১৫ কোটি ৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিএসআরএম। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমেÑ গোল্ডেন হার্ভেস্ট, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, কেয়া কসমেটিকস, ড্রাগন সোয়েটার, ওরিয়ন ইনফিউশন্স, ইবনে সিনা, ইউনাইটেড পাওয়ার। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : কেডিএস এক্সেসরিজ, ইবনে সিনা, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, আমান ফিড, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড, এমবে ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, আইসিবি এমপ্লয়িজ ১ম মিউচুয়াল ফান্ড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ওয়াটা কেমিক্যাল, আজিজ পাইপস, লিব্রা ইনফিউশন, ইস্ট ল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, এমারেল্ড ওয়েল, ন্যাশনাল টি, সিএমসি কামাল, কে এ্যান্ড কিউ, উত্তরা ফাইন্যান্স ও প্রাইম লাইফ। এদিকে দিনটিতে ঢাকার বাজারের মতো অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেরও সব ধরনের সূচকের সঙ্গে লেনদেন কমেছে। সকালে দরবৃদ্ধির প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে সিএসসিএক্স ৩৮.৪২ পয়েন্ট বেড়ে দিনশেষে ৮ হাজার ১১৬.৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৬টির, কমেছে ৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির দর। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : কেডিএস এক্সেসরিজ, ড্রাগন সোয়েটার, সামিট পাওয়ার, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, কেয়া কসমেটিকস, বিএসআরএম লিমিটেড, এমারেল্ড ওয়েল, আইটিসি, ইউনাইটেড পাওয়ার ও পূবালী ব্যাংক।
×