ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আইনী জটিলতায় পেছাল স্বাধীনতা কাপ ফুটবল

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৩০ মার্চ ২০১৬

 আইনী জটিলতায় পেছাল স্বাধীনতা কাপ ফুটবল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আইনগত জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল মৌসুম সূচক এই ফুটবল আসরের। কিন্তু সোমবার শেখ জামাল ধানম-ির করা এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে থমকে যায় এই টুর্নামেন্টের খেলা। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রফেশনাল ফুটবল লীগ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘কেএফসি স্বাধীনতা কাপ’-এর খেলা দু’দিন পিছিয়ে আগামী শুক্রবার থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। রিট পিটিশনের রায়ে আদালত এই নির্দেশনা দেন যে শেখ জামালের আট ফুটবলার অন্য কোন ক্লাবের হয়ে খেলতে পারবেন না। বাফুফে এই সমস্যা সমাধান করবে। এই আটজনের মধ্যে পাঁচজনই চট্টগ্রাম আবাহনীর। যাদের খেলা ছিল টুর্নামেন্টের প্রথম দিনেই। বাফুফে রিট পিটিশন স্থগিত করার কার্যক্রম হাতে নিলেও সেটিতে সফল হয়নি। আদালত আদেশ দিয়েছেন শুনানির পরই এই রিট পিটিশনের নিষ্পত্তি হবে। তাই বাফুফে যথাসময়ে স্বাধীনতা কাপ ফুটবল শুরু করতে পারছে না। এ বিষয়টি ঘিরে নতুন বিপত্তি দেখা দিয়েছে। সেটি হলো শেখ রাসেল, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, উত্তর বারিধারা ও ফেনী সকার বলছেÑ স্বাধীনতার মাসে স্বাধীনতা কাপ ফুটবল না করতে পারলে তারা এই টুর্নামেন্ট না-ও খেলতে পারে! আদালতের রায় শেখ জামাল ক্লাবের পক্ষে গেলেও ক্লাবটির আপত্তিতে সাড়া দেয়নি বাফুফে প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি। সোমবার বাফুফের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খেলোয়াড়দের কাগজপত্র বাছাই করে কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় মামুনুল, নাসির উদ্দিন, ইয়ামিন, সোহেল রানা ও রায়হানÑ এই পাঁচ চট্টগ্রাম আবাহনীতে খেলবেন। আলমগীর কবির রানা ও জামাল ভুঁইয়া খেলবেন শেখ রাসেলে। শহীদুল আলম সোহেল ঢাকা আবাহনীতে। তবে ইয়াসিন খানের কাগজপত্র দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেন তিনি জোমালের হয়েই খেলবেন। এছাড়া শেখ জামাল ধানম-ির আইনী পদক্ষেপের জবাব আইনের মাধ্যমেই দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে। শেখ জামালের আট ফুটবলারকে তাদের ক্লাবে ফিরিয়ে দিতে সোমবার বাফুফের প্রতি আদেশ জারি করেন হাইকোর্ট। যার প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানিয়েছে দেশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এ সংস্থা। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘সম্মানিত বিচারকদের রায়ের কপি এখনও আমরা হাতে পাইনি। কাল (মঙ্গলবার) হয়ত এটি আমাদের হাতে আসবে। এরপর আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। আইনী পদক্ষেপের বিপক্ষে আইন ছাড়া অন্য পথ তো নেই।’
×