অনলাইন ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮১ মিলিয়ন ডলার অর্থ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনে সিনেট কমিটির তৃতীয় দিনের শুনানি চলছে।
এতে হাজির হয়েছেন, অন্যতম প্রধান সন্দেহভাজন ব্যবসায়ী কাম সিন অং, যিনি কিম অং নামেও পরিচিত।
ফিলিপাইন ডেইলি ইনকোয়ারার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে জানা যাচ্ছে, সকালে সিনেটের ব্লু রিবন কমিটির এই শুনানি শুরু হয়।
শুনানিতে ফিলিপাইনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক বা আরসিবিসি, এবং ফিলিপাইনের ‘এমিউজমেন্ট এন্ড গেমিং কর্পোরেশন’ এর কর্মকর্তারা হাজির রয়েছেন।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থ যে তিনটি বড় ক্যাসিনোতে চলে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে, সেই সোলারি রিসোর্ট এন্ড ক্যাসিনো, সিটি অব ড্রিমস এবং মাইডাস এর কর্মকর্তারাও হাজির রয়েছেন এই শুনানিতে।
সিনেটর র্যালফ জি রেকটো এই শুনানি পরিচালনা ও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
উপস্থিত সকল পক্ষকে তাদের বক্তব্যের সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে, সিনেট কমিটির সামনে আসার আগে থেকে গণমাধ্যমের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন কিম অং।
এদিকে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে আরসিবিসি'র জুপিটার শাখার ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতো শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
এর আগে ১৫ ও ১৭ই মার্চ সিনেট ব্লু -রিবন কমিটির শুনানি হয়।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক কাজের জন্য বরাদ্দকৃত সব ল্যাপটপ রিজার্ভের অর্থ চুরির তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে।
এজন্য বুধবারের মধ্যে সব কর্মকর্তার ল্যাপটপ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বা আইটি অপারেশন ও কমিউনিকেশন বিভাগে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: