ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

১৬ নদ-নদী এখন শুকনো খাল

প্রকাশিত: ০৭:২৭, ২৯ মার্চ ২০১৬

১৬ নদ-নদী এখন শুকনো খাল

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর চাঞ্চল্য এখন নেই। বহমান নদীগুলো এখন প্রায় পানিশূন্য। যেদিকে তাকানো যায় শুধু বালি আর বালি। বর্তমানে সব নদীর চিত্র একই রকম। নদীর পানি শূন্য হয়ে পড়ার তীরবর্তী এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের উজান থেকে প্রায় ২ বিলিয়ন মেট্রিক টন পলি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তার মধ্যে ৮০ শতাংশ পলি কুড়িগ্রামের বিভিন্ন নদী দিয়ে আসে। ফলে নদীগুলো দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে শিশু, মেহগনি, বাবলাসহ নানা জাতের বড় বড় গাছ অকালে মরে যাচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় জীববৈচিত্র্যের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকার মানুষ মনে করে। চোখের সামনে জেলাজুড়ে জালের মতো বিছিয়ে থাকা সব নদী একে একে হারিয়ে যাচ্ছে। যে নদীর বুকে আগে প্রবল ঢেউ আর ঢেউয়ের দোলা ছিল সেসব নদীর শুষ্ক বুকে এখন বালি আর বালি। পানির অভাবে নদী মরে যাচ্ছে, যা কুড়িগ্রামকে স্থায়ী মরুকরণের পথে নিয়ে যাচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদী পরিণত হয়েছে শুকনো খালে। ভারতের উজানের পানি প্রবাহ ভয়াবহভাবে কমে, নদীতে পলি জমে, জলাধারগুলো ভরাট হয়ে একের পর এক নদী মরে যাচ্ছে। তিস্তা চুক্তি না করা এবং উজানে তিস্তা নদীতে ভারতের বেশ কয়েকটি বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহারের কারণে পানিপ্রবাহ বস্তুত শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। একসময়ের স্রোতস্বিনী নদ-নদী ফুলকুমোর, কালজানি, গঙ্গাধর, সংকোশ, ধরনী, জিঞ্জিরাম, হংস, নীলকোমল, শিয়ালদহ, সোনাভরি, হলহলিয়া, জালছিরা, নদী হারিয়ে গেছে। কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, জেলার ৫৪টি ঘাটের মধ্যে অধিকাংশ এখন বন্ধ। শত শত নৌকার মাঝির চলছে চরম দুর্দিন। সেই সঙ্গে ঘাট শ্রমিকরা পড়ছে মহাবিপাকে। পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহ্ফুজুর রহমান জানান, ভারত একতরফা পানি প্রত্যাহারের কারণে উজান থেকে আসা পানির প্রবাহ কমে গেছে। তাছাড়া বর্ষাকালে পানির প্রবাহ বেড়ে গেলে এ অঞ্চলের নদ-নদীর দুকূল ভেঙ্গে নদী প্রশস্ত হয়। মদনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হয়রানির অভিযোগ নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ২৮ মার্চ ॥ মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফখরুল ইসলাম হেভেনের (আনারস) ২৬ কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নূরুল আমিন সাদেক (নৌকা)। রবিবার রাতে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে ওসি মাজেদুর রহমান সোমবার দুপুরে জানান, অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফখরুল ইসলাম হেভেন জানান, গত শনিবার রাতে তিনি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বড়াটি ও আকাশ্রী গ্রামে নির্বাচনী গণসংযোগে যান। এ সময় নূরুল আমিন সাদেক ও তার সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায় এবং কয়েকজনকে আহত করে প্রচারে বাধা সৃষ্টি করে। ওই রাতেই পুলিশ তার (হেভেনের) দুই সমর্থক টিটু ও ফিরোজকে ধরে এনে থানায় আটক করে রাখে। পরদিন রাতে তাদের ছাড়া হয়। এখন আবার উল্টো তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি দাবি করেন, তাকে পরাজিত করার উদ্দেশ্যে নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকরা তার লোকদের নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চান। অপরদিকে নৌকার প্রার্থী নূরুল আমিন সাদেক বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হেভেনের সমর্থকরা রাতের আঁধারে মোয়াটি গ্রামে তার কয়েক সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালায় এবং সব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। তিনি দাবি করেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর তার কেউ হামলা বা ভয়-ভীতি দেখায়নি। এ অভিযোগ মিথ্যা।
×