ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের একমির আবেদন শুরু ৩ এপ্রিল

প্রকাশিত: ০১:১১, ২৮ মার্চ ২০১৬

যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের একমির আবেদন শুরু ৩ এপ্রিল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী ৩ এপ্রিল থেকে একমি ল্যাবরেটরিজের যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের চাঁদা গ্রহণ শুরু হবে। এটি চলবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৮৫ দশমিক ২০ টাকা করে মোট আড়াই কোটি শেয়ার কিনবে। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে চাঁদা গ্রহণ ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রবাসীরাও একই সময় থেকে আইপিও আবেদন করতে পারবেন। তবে সাধারন বিনিয়োগকারী, প্রবাসী ও মিউচুয়াল ফান্ড এই আবেদন করবে কাট অব প্রাইসে। পূর্ব নির্ধারিত সময়ে চাঁদা উত্তোলন করলেও কোম্পানিটির আইপিও নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। টানা পতনে থাকা বাজার থেকেই এই সময়ে ৪০৯ কোটি টাকা উত্তোলনের সময়টা নিয়েও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের মতে, একমির মতো কোম্পানির চাঁদা গ্রহণের জন্য নতুন ফান্ড বাজারে না আসার কারণে টানা পতন ঘটছে। এছাড়া তারা এই পরিস্থিতিতে আইপিও এবং রাইট অনুমোদনেরও কড়া সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, নতুন ফান্ড না আসায় এমনি বাজারে ক্রেতা সংকট, এই পরিস্থিতিতে নতুন করে টাকা উত্তোলন করলে তারল্য সংকট আরও বাড়তে পারে। অন্যদিকে চাঁদা গ্রহণ করতে যাওয়া একমি’র ক্যাশফ্লো হিসাবে বড় ধরনের গরমিল পাওয়া গেছে। কোম্পানিটিকে ইউএনডিপি ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিল। কিন্তু এই অনুদান ২০১২-১৩ অর্থবছরের ক্যাশফ্লোতে দেখানো হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের অনুদানে এটি ক্যাশফ্লো হিসাবে দেখানো হয়েছিল। তবে কোম্পানিটি অনুদানের অর্থ ব্যবহার না করে নিজেদের অন্যান্য আয়ের মধ্যে দেখিয়েছে। একইসঙ্গে কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবের ক্যাশফ্লোতে পৃষ্টাভেদে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে। ড্রাফট প্রসপেক্টাসের ১৯৪ পৃষ্টায় ২০১২-১৩ অর্থবছরের ক্যাশফ্লোতে জমির বিপরীতে ৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা অগ্রিম প্রদান হিসাবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু ১৫৪ পৃষ্টার ক্যাশফ্লোতে তা নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ বলেন, এখন কোম্পানিগুলো ইস্যু ম্যানেজারদের সহযোগিতায় বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা করছে। কোম্পানিতে কিছু না থাকলেও তারা সুন্দর করে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করে। এসব কোম্পানির আইপিও অনুমোদনে বিএসইসির সতর্ক হওয়া দরকার।
×