ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হলিউডে অরুচি কারিনার

প্রকাশিত: ২০:২৬, ২৮ মার্চ ২০১৬

হলিউডে অরুচি কারিনার

অনলাইন ডেস্ক॥ বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ করে হলিউডে এখন অনেক কাজ করছেন। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আর দীপিকা পাড়ুকোনই এর উজ্জ্বল উদাহরণ। এ দলে যুক্ত হতে পারলে কেমন লাগবে কারিনা কাপুর খানের? উত্তরে তার কণ্ঠে পুরোপুরি অন্য সুর। হলিউডে কাজ করার ব্যাপারে মোটেই উৎসাহী নন কারিনা। ৩৫ বছর বয়সী এই তারকার ভাষ্য, ‘হলিউডে কাজ করার কোনো আগ্রহ নেই আমার। এখন সারাবিশ্বের দর্শক হিন্দি ছবি দেখেন। এসব ছবি বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হচ্ছে। সুতরাং পশ্চিমা দর্শকরা যে বলিউড অভিনেত্রীদের সম্পর্কে জানেন না তা ঠিক নয়।’ হলিউডের সিঁড়িতে পা রাখতে আলাদা গুণ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন কারিনা। তার মতে, ‘হলিউডে কাজ করার জন্য আলাদা উদ্যম ও আন্তরিকতা প্রয়োজন, মনে হয় না এগুলো আমার মধ্যে আছে।’ কারিনা এখন ‘কি অ্যান্ড কা’ ছবির প্রচারে ব্যস্ত। দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকা বদল নিয়েই এর গল্প। যেখানে স্বামী ঘরের সব কাজ সামলান। আর স্ত্রী অফিসের কাজে ডুবে থাকেন। ঘরজামাই চরিত্রে আছেন অর্জুন কাপুর। বাবা নয়, মায়ের মতো মানুষ হতে চায় ছেলেটি। আর. বালকি পরিচালিত ‘কি অ্যান্ড কা’ মুক্তি পাবে আগামী ১ এপ্রিল। ছবিটিতে অর্জুনের সঙ্গে চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন কারিনা। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। কারণ বিয়ের পর তিনি চুম্বন দৃশ্যে কাজ না করার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। এ প্রসঙ্গে বিয়ের পর ভারতে একজন মানুষের জীবন বদলে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তার কথা, ‘বিয়ের পর কেউ অনেক সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হন, তখন মনে হয় আত্মাকেই যেন বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।’ এ ধরনের ছবিতে কাজ করতে পারার পেছনে স্বামী সাইফ আলি খানকে কৃতিত্ব দিলেন কারিনা। তিনি বলেন, ‘সঙ্গীর সমর্থন খুব জরুরি। যদি আমার সঙ্গী সমর্থন না দিতেন তাহলে এ ধরনের ছবিতে কাজ করা হতো না আমার। পর্দায় কেউ স্বামী-স্ত্রী চরিত্রে অভিনয় করলে ঘনিষ্ঠ হতেই হয়, সাইফ এটা ভালো বোঝে। ও আমার পেশাকে সম্মান করে।’ এদিকে পারিবারিক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আরকে ফিল্মস পুনরায় চালু করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন কারিনা। প্রয়াত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব রাজ কাপুর ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি গড়েছিলেন। এখান থেকে তৈরি হয়েছে ‘আগ’, ‘বারসাত’, ‘আওয়ারা’, ‘বুট পলিশ’, ‘জাগতে রহো’, ‘শ্রী ৪২০’, ‘জিস দেশ মে গঙ্গা বেহতি হ্যায়’, ‘মেরা নাম জোকার’, ‘ববি’, ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’, ‘রাম তেরি গঙ্গা মালি’ প্রভৃতি। ১৯৮৮ সালে ‘হেনা’ ছবির দৃশ্যধারণ চলাকালীন রাজ কাপুরের মৃত্যুর পর তার পুত্র রণধীর কাপুর (কারিনার বাবা) প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নেন। তিনি ‘হেনা’র কাজ শেষ করেন। এরপর পরিচালনা করেন ‘ধর্ম কর্ম’। ১৯৯৯ সালে আরকে ফিল্মসের সর্বশেষ প্রযোজিত ছবি ‘আ আব লট চলে’ পরিচালনা করেন ঋষি কাপুর।
×