ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন

এপ্রিলেই শুরু হচ্ছে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৮ মার্চ ২০১৬

  এপ্রিলেই শুরু হচ্ছে মেট্রোরেলের নির্মাণ  কাজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এপ্রিলেই শুরু হচ্ছে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ। প্রথম পর্যায়ে মেট্রোরেলের জন্য ডিপো নির্মাণ করা হবে। এজন্য রবিবার মেট্রোরেল প্রকল্পের কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-১ এর আওতায় মেট্রোরেলের ডিপো নির্মাণের চুক্তি সই করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। সরকারী এই কোম্পানিটি মেট্রোরেল নির্মাণ করবে। রাজধানীর একটি হোটেলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের সূচনা করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশের মেট্রোরেলের রুট এবং শব্দদূষণ বিষয়ক অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠকসহ দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর কর্তৃপক্ষের সম্মতি নিয়েই মেট্রোরেলের রুট চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, মেট্রোরেল রুটে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শব্দ ও কম্পন নিরোধক সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। শব্দ প্রতিরোধে দেয়ালে স্থাপন করা হবে নয়েজ ব্যারিয়ার। এর ফলে শব্দ মাত্রা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমে যাবে এবং মেট্রোরেলের চলাচলের কারণে এ এলাকায় বিদ্যমান শব্দের তীব্রতা কোনভাবেই বাড়বে না। চুক্তি অনুযায়ী ৫৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান উত্তরা ৩য় ফেজ এলাকায় মাটি ভরাট, ভূমি উন্নয়ন, মেট্রোরেল ডিপো নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ সম্পাদন করবে। চুক্তি অনুযায়ী ২৫ মাসের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করা হবে। চুক্তিপত্রে টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লি. এর অথরাইজড্ রিপ্রেজেন্টেটিভ হিরোসি আসাকামি এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোফাজ্জল হোসাইন নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন। মেট্রোরেলকে ঘিরে ঢাকার মানুষ নতুন করে যানজট মুক্তির স্বপ্ন দেখছে। তবে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু থেকে যানজট নিয়েও মানুষের মধ্যে শঙ্কা কম নয়। ইতোমধ্যে মেট্রোরেলের জন্য মাটি পরীক্ষার সময় ঢাকার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। অধিকাংশ মানুষই মনে করেন ঠিকাদার সঠিক নির্মাণ পদ্ধতি অনুসরণ না করার দায় সাধারণ মানুষের কাঁধে চাপে। প্রথম পর্যায়ে (এমআরটি-৬) উত্তরা থেকে মিরপুর-আগারগাঁও হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল। ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে ২৪ জোড়া ট্রেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে মেট্রোরেলের পথ নেয়ায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলেও ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ডিএমআরটিডিপি)’ কর্তৃপক্ষ বলেছে, এ বিষয়ে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাজধানীর রাস্তার মাঝ বরাবর ওপর দিয়ে চলবে মেট্রোরেল। মেট্রোরেল স্টেশন হবে প্রায় দোতলা সমান উঁচু। বিনা টিকেটে কেউ ভ্রমণ করলে গুণতে হবে জরিমানা। ১৬টি স্টেশন থাকবে ॥ এগুলো হলো উত্তরা (উত্তর), উত্তরা (সেন্টার), উত্তরা (দক্ষিণ), পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০ নম্বর, কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব ও মতিঝিল। পুরো পথ যেতে ৪০ মিনিটেরও কম সময় লাগবে। চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য একাব্বর হোসেন, নাজমুল হক প্রধান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে, জাইকার চীফ রিপ্রেজেন্টেটিভ মিকিও হাতেইদা, ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক মোঃ কায়কোবাদ হোসেনসহ মন্ত্রণালয় ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
×