অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রিজার্ভ থেকে খোয়া যাওয়া অর্থ উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত স্থায়ী প্রতিনিধি, নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নর ও অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের প্রধানকে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। রবিবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বর্তমান চারটি জায়গায় পত্র দিয়েছেন, এর মধ্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিকে পত্র দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে দেশের পক্ষে রোল প্লে করার জন্য। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের বোর্ড অব গভর্নেন্সের চেয়ারম্যানের কাছে সহযোগিতা চেয়ে পত্র দেওয়া হয়েছে। ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের প্রধানকেও সহযোগিতা চেয়ে গভর্নর পত্র দিয়েছেন, ফোন করছেন এবং চেষ্টা অব্যাহত আছে। কখন এবং চিঠিতে কি বলা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব সম্প্রতি এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। অর্থ আদায়ের জন্য যেভাবে চিঠি দেওয়া দরকার, একটি কার্যকরী প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য যেভাবে বলা দরকার সেভাবেই পত্র দেওয়া হয়েছে।
তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, অভ্যন্তরীণ ও সরকারের গঠিত কমিটির তদন্ত অব্যাহত আছে। তিনি আরও বলেন, এফআরবি নিউইয়র্কে যে ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস্ওম্যান ক্যারেলিন বি লেলোনি ইতোমধ্যে কি প্রক্রিয়ায় এবং কোন পদ্ধতিতে এরকম একটি ঘটনা ঘটল সে ব্যাখাটি চেয়েছেন। শুভঙ্কর সাহা জানান, গবর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল মহাব্যবস্থাপক ও তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিতিমূলক একটি সৌজন্য বৈঠক করেছেন। এসময় তিনি তাদেরকে আইটি সিকিউরিটি আরও বাড়ানোর বিষয়ে জোর দিতে বলেছেন, যাতে করে যে ঘটনাটি ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি না হয়। এর প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ম্যানুয়াল নিয়মনীতি রয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করে জনগণের আস্থা উন্নয়নে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাদের নির্ভয়ে কাজ করারও পরামর্শ দিয়েছেন।