ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিএসএলের রূপরেখা নির্ধারণ

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২৭ মার্চ ২০১৬

বিএসএলের রূপরেখা নির্ধারণ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ সুপার লীগের (বিএসএল) আর্থিক রূপরেখা ঠিক করেছে আয়োজক সাইফ পাওয়ারটেক। সেক্ষেত্রে আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রত্যেকে দলগঠনে খরচ করতে পারবে ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। এছাড়াও আর্থিক রূপরেখা অনুযায়ী বিএসএল থেকে লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ পাবে দলগুলো। এদিকে দেশী ফুটবলারের সঙ্কটের বিষয়টি বিবেচনায় এনে সুপার লীগে বিদেশী ফুটবলারের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সাইফ পাওয়ারটেক। দেশের প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ফুটবল লীগ নিয়ে সুখবরটা এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতেই। জমকালোভাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিএসএলের প্রমো এবং লোগো উন্মোচনের পর অপেক্ষাটা এখন কর্পোরেট নাইটের। এ নিয়ে কার্যক্রম অনেকটা সম্পন্ন হলেও এরই মধ্যে লীগের আর্থিক রূপরেখা নির্ধারণ করে ফেলেছে আয়োজক সাইফ পাওয়াটেক। লীগ শেষে তাদের মুনাফা হবে ৩ কোটি টাকার মতো। এদিকে দেশী ফুটবলারের সঙ্কটের বিষয়টি বিবেচনায় এনে বিএসএলে বাড়ানো হতে পারে বিদেশী ফুটলারের সংখ্যা। একইসঙ্গে প্রত্যেকটি দলকে বাধ্য করা হবে বয়সভিত্তিক ফুটবলার রেজিস্ট্রেশনেও। সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রহুল আমিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ফুটবলারের সঙ্কট আছে বলেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অনুর্ধ-১৯ থেকে কমপক্ষে পাঁচ খেলোয়াড়কে ট্যাগ করে দেব। কারণ সেখান থেকেই আমাদের খেলোয়াড় তৈরি করে নিয়ে আসতে হবে।’ আটটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে বিএসএল। এজন্য ইতোমধ্যেই অনেকটাই তৈরি হয়ে গেছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট এবং বরিশাল স্টেডিয়াম। আলোচনায় আছে ময়মনসিংহ বিভাগীয় স্টেডিয়ামও। তবে মাঠ প্রস্তুত হলেও ফ্লাডলাইট সঙ্কটের জন্য কিছু কিছু ভেন্যুতে ম্যাচ হবে দিনের আলোয়। পাশাপাশি বিএসএলকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে সংযোজন করা হবে বিনোদন জগতের নামকরা সব তারকাদের। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের যৌথ আয়োজনে ‘বাংলাদেশ সুপার লীগে’র খেলা আগামী নবেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। এই লীগ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সারাদেশে ফুটবলের উন্মাদনা ছড়িয়ে দেয়া। ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট, ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক ফুটবলÑ অর্থাৎ মুক্ত বাণিজ্যের যুগে খেলাধুলাকে যে যত বেশি বাণিজ্যিকীকরণ করতে পেরেছে তারাই যেন ততবেশি সফল। ভারতের আইপিএলের দেখাদেখি ফুটবলে শুরু হয়েছিল আইএসএল। তারই দেখাদেখি বাংলাদেশেও শুরু হচ্ছে বিএসএল। শুধু তাই নয়, বিএসএলের ব্র্যান্ড এ্যাম্ব^াসেডর হিসেবে যেনতেন নাম নয়, খোদ ডিয়েগো ম্যারাডোনাকেই বেছে নেয়া হয়েছে! এমনকি বিসিএল চলাকালীন বাংলাদেশে অবস্থান করে এই আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর এ দেশের ফুটবলকে জনপ্রিয় করে তোলার চেষ্টা করবেন।বিসিএলের পরিকল্পনার শুরু থেকেই শোনা যাচ্ছিল ম্যারাডোনাকেই করা হতে পারে এর শুভেচ্ছাদূত। আইএসএলকে ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সাবেক কিন্তু বড় নামের পেছনে ছুটবে না বাংলাদেশ। ফুটবলার নেয়া হবে ৩০-এর কোঠার মধ্যেই। একইসঙ্গে বিএসএল হাত বাড়াচ্ছে আইএসএলের দিকেও। আইএসএলে ভাল খেলা ফ্রি ফুটবলার ও কোচদের দিকে নজর রয়েছে বাংলাদেশের নতুন এই লীগের। এবার বিএসএলে দাপিয়ে খেলার জন্য তৈরি বাংলাদেশের ফুটবলাররা। নিজেদের বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য এটাই হবে তাদের সেরা মঞ্চ।
×