ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাগেরহাটে থামছে না নির্বাচনী সহিংসতা

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২৭ মার্চ ২০১৬

বাগেরহাটে থামছে না নির্বাচনী সহিংসতা

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মোরেলগঞ্জের রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা মোতালেব ফকিরকে শুক্রবার রাতে মুখ বেঁধে বেপরোয়া পিটিয়ে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় ডোবায় ফেলে দিয়েছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ক্যাডার। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হলেও হামলাকারীদের হুমকির কারণে হাসপাতালে নেয়া যায়নি। শনিবার সকালে বাড়িতে ডাক্তার ডেকে তার চিকিৎসা করানো হয়। মোতালেব মধ্য কচুবুনিয়া গ্রামের ইদ্রিস ফকিরের ছেলে এবং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ বিষয়ে মোতালেব ফকিরের স্ত্রী নাজমীন বেগম বলেন, স্থানীয় বড়শিবাওয়া বাজার থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে তাকে মুখ বেঁধে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে ডোবায় ফেলে দেয়। ইউপি নির্বাচনের জের ধরে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় এমপির ভাইয়ের ছেলে নুরুজ্জামান তার বাহিনী নিয়ে আমার স্বামীকে মারপিট করেছে। অথচ আমরা এমপির কথামতো ভোট দিয়েছি। এছাড়া শনিবার ভোরে একই উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের খারইখালী এলাকায় ‘আফজাল স্টোর’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। মালিক শেখ আফজাল হোসেনকে পিটিয়ে আহত করার দু’দিন পর তার দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে দোকানে থাকা টিভি, ফ্রিজ, ডিভিডিসহ সকল মালামাল পুড়ে প্রয় সাত লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে, শরণখোলায় ধানসাগর ইউনিয়নের রতিয়া রাজাপুর গ্রামে ভোট না দেয়ার অপরাধে মরিয়ম বেগম (৭৫) নামের এক বৃদ্ধাকে বেধড়ক পিটিয়েছে পরাজিত মেম্বারপ্রার্থীর সমর্থকরা। প্রার্থীর ছেলের নেতৃত্বে ওই বৃদ্ধার গোপনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে পৈচাশিক নির্যাতনের চেষ্টা করা হয়। আক্রান্তরা অভিযোগ করেন, মেম্বারপ্রার্থী রহমান পরাজিত হওয়ার জের ধরে প্রতিবেশী বাবুল হাওলাদারের বাড়িতে প্রার্থীর ছেলে মিজানের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল হামলা করে। বাবুলকে না পেয়ে ঘরের আসবাপত্র ভাংচুর করে। তারা বাবুলের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৪৫) ও বৃদ্ধা মা মরিয়ম বেগমকে (৭৫) বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এ সময় বৃদ্ধা মরিয়ম বেগমের গোপনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে পৈশাচিক নির্যাতনের চেষ্টা চালায়।
×