ব্রাসেলসে হামলায় নিহত ৩১ ব্যক্তি ১২টি দেশের নাগরিক। এদের মধ্যে দুই ডাচ সহোদর বোমা বিস্ফোরণের সময়ই তাদের এক আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন। কসমোপলিটন নগরীর বৈশিষ্ট অনুযায়ী ইউরোপের প্রতীকী রাজধানী ব্রাসেলসে বিভিন্ন দেশের লোক আসা যাওয়া। এই হামলায় নিহতদের মধ্যে মরক্কো, পেরু, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের নাগরিকও রয়েছেন। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, এই ঘটনায় অন্তত দুই মার্কিন নাগরিক নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। ডাচ সহোদর সাশা ও আলেকজান্ডার পিনশোউস্কি বহু বছর ধরে নিউইয়র্কে বাস করছিলেন। ডেনমার্কে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস কেইন বলেন, মঙ্গলবার সকালে ব্রাসেলস বিমানবন্দরে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী যখন হামলা চালায় তখন তারা বিমানে করে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আলেকজান্ডার মায়ের সঙ্গে কথা বলার সময় বিস্ফোরণের কারণে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই হামলায় তিনজন ডাচ নাগরিক নিহত হন। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, অপর ডাচ নাগরিকের নাম ইলিটা ওয়েয়াহ্ (৪১)। তিনি তার সৎ পিতার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছিলেন। ব্রিটিশ কম্পিউটার প্রোগ্রামার ডেভিড ডিক্সন বিস্ফোরণে পর তার আন্টিকে মেসেজ পাঠান। তিনি এই হামলার পর নিরাপদ রয়েছেন তা জানাতেই এই মেসেজ পাঠান। ৫১ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ ব্রাসেলসে বাস করেন। এই ঘটনায় আরও ৭ ব্রিটিশ নাগরিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন এখনও হাসপাতালে রয়েছেন।
ইসলামিক স্টেটের এই হামলায় আনুমানিক ৩০০ লোক আহত হয়েছে। ইতালির নাগরিক প্যাট্রিসিয়া রিজো (৪৮) এই হামলায় নিহত হন। তিনি কয়েক মাস ধরে ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান রিসার্চ কাউন্সিল এজেন্সিতে (ইআরসিইএ) কাজ করছিলেন। তিনি মেট্রোতে নিহত হন। রোম তার মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। তার জ্ঞাতিভাই ম্যাসিমো লিওনি তার ফেসবুকে প্যাট্রিসিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। -এএফপি
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: