ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশ স্মৃতিসৌধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণ

প্রকাশিত: ১৮:০৮, ২৬ মার্চ ২০১৬

পুলিশ স্মৃতিসৌধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণ

অনলাইন রিপোর্টার॥ নানান আয়োজনে পালিত হচ্ছে মহান স্বাধীনতা দিবস। এ উপলক্ষে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ পুলিশও। আজ শনিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এসময় মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পুলিশের আইজিপি একেএম শহীদুল হকও। এর আগে গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী হয়ে অস্ত্রগুলো গর্জে উঠেছিল আজ থেকে ৪৬ বছর আগে। ২৫ মার্চ ১৯৭০ সাল। যে ভয়াল কাল রাতে স্বাধীনতার স্বপ্ন, আন্দোলনকে চিরদিনের জন্য স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল পাক হানাদার বাহিনী। প্রথমেই আক্রমন করেছিল সে দিনের বাংলার সবচেয়ে বড় প্রশিক্ষত অস্ত্রধারী বাহিনী পুলিশের ওপর। বাঙ্গালি জাতির স্বাধীনতার স্বপ্ন আন্দোলনকে চিরদিনের মত স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল পাক হানাদার বাহিনী। ২৫ মার্চ দিনগত রাত প্রায় সাড়ে ১১টায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বের হয়ে আসে তাদের ছাউনী থেকে। খবর পেয়ে যায় পুলিশ। তেজগাঁও থানার দুজন পুলিশ স্থানীয় জনগনকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুাক্তযোদ্ধা জনাব আসাদুজ্জামান কামাল ও ছিলেন সেই প্রতিরোধের প্রহরী দলের রাস্তার পাশে গাছ পালা কেটে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন তারা। সেই বাধা পেরিয়ে পাক সেনারা ধেয়ে আসে রাজারবাগের দিকে। ফার্মগেট পৌঁছলে তেজগাঁও থানায় কর্মরত ওয়ারলেস অপারেটর জানিয়ে দেন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সকে। বেজে ওঠে পাগলা ঘন্টা। ব্যারাক থেকে দৌড়ে আসেন পুলিশ সদস্যগণ। কিন্তু অস্ত্রাগার তালাবদ্ধ। ভেঙ্গে ফেলেন সেই তালা। হাতে তুলে নেন অস্ত্র ও গুলি। একটি দল অবস্থান নেয় ডন স্কুলের ছাদে। পুলিশ লাইন্সের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় অন্যান্য দল। রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজারবাগের গেটে পৌঁছে পাকিস্তানি বাহিনী। নির্বিচারে মেশিনগান, মর্টার আর হেলিকপ্টার গানশিপ দিয়ে চলে গুলি। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ সদস্যরাও। ওয়ারলেস অপারেটর কনস্টবল মো. শাহাজাহান সারা দেশের সকল ইউনিটকে জানিয়ে দেন পুলিশী লড়াই এর খবর। প্রতিটি ইউনিটে গড়ে ওঠে প্রতিরোধের প্রস্তুতি। ওই দিন বিকেলেই বঙ্গবন্ধু তনয় শেখ কামাল নিজেই হোন্ডাযোগে (মোটর সাইকেল) যান রাজারবাগে। হাতে ছিল বঙ্গবন্ধু স্বাক্ষরিত বার্তা। পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের ডাক দিয়েছিলেন তিনি।
×