ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ওদের নাশকতা পরিকল্পনায় সহযোগিতা দিচ্ছে বিএনপি- জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী নেতাকর্মীরা

ঢাকার আশপাশের গ্রামে শক্ত ঘাঁটি গাড়ছে জঙ্গীরা

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২৬ মার্চ ২০১৬

ঢাকার আশপাশের গ্রামে শক্ত ঘাঁটি গাড়ছে জঙ্গীরা

গাফফার খান চৌধুরী ॥ ঢাকার পাশের আমিনবাজার, বড়দেশী গ্রাম ও কাউন্দিয়া ইউনিয়নসহ রাজধানীর চারদিকের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো এখন জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীদের শক্ত ঘাঁটি। যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরকে কেন্দ্র করে তারা ঢাকায় বড় ধরনের নাশকতা চালাতেই এমন প্রস্তুতি নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। নাশকতা চালানোর এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী বিএনপি-জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীদের আশ্রয় প্রশয় দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আমিবাজার সংলগ্ন কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বহুল আলোচিত চেয়ারম্যান সাবেক বিএনপি নেতা সাইফুল আলম খানের বিরুদ্ধেও। যদিও ওই চেয়ারম্যান এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। অনুসন্ধানে এবং সম্প্রতি কল্যাণপুর থেকে চার জঙ্গী গ্রেফতারের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর থেকেই জামায়াতের ডাকা হরতালে গাবতলী এলাকায় জামায়াত-শিবির ব্যাপক তা-ব চালাত। পুলিশের ধাওয়ার মুখে তা-বকারীরা নিমিষেই হাওয়া হয়ে যেত। এসব নেতাকর্মী সাভারের আমিনবাজার, বড়দেশী গ্রাম ও কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন গ্রামে গিয়ে অবস্থান নিত। নৌকা ব্যতীত কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় তারা গ্রেফতারও হতো না। যুদ্ধাপরাধ মামলায় ফাঁসির দ-াদেশ পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর রায় কার্যকর উপলক্ষে ঢাকায় বড় ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা- হতে পারে। তারই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীরা ঢাকার চারদিকে অবস্থান নিতে পারে। এবার তারা ঢাকা থেকে বের হওয়ার ও প্রবেশ মুখগুলোতে ব্যাপক নাশকতা চালাতে পারে। এজন্য তারা ঢাকার প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথের আশপাশে অবস্থান নিয়ে থাকতে পারে। সরেজমিনে এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাবতলী থেকে হেঁটে মাত্র আধঘণ্টার রাস্তা। আমিনবাজার থেকে নদী পার হলেই কাউন্দিয়া। এসব এলাকা এতটাই ঘনবসতিপূর্ণ যে কারও পক্ষেই অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব নয়। এরমধ্যে দাগী অপরাধীরা আশ্রয় নিত কাউন্দিয়া ইউনিয়ন এলাকায়। এলাকাটিতে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের প্রভাব বেশি। আর চারদিকে নদী থাকায় নৌকা ছাড়া এলাকাটিতে প্রবেশের বিকল্প কোন রাস্তা নেই। দীর্ঘ দিন ধরেই জামায়াত-শিবির এলাকাটিতে বহাল তবিয়তে অবস্থান করে নানা ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা- চালিয়ে আসছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জামায়াত-শিবিরকে পরোক্ষভাবে মদদ দেয়ার সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খান জড়িত। কারণ তিনি এক সময় বিএনপির ডাক সাইটের নেতা ছিলেন। বতর্মানে আওয়ামী লীগ করেন। কিন্তু পুরনো সখ্য ভোলেননি। সে সুবাদে তার সঙ্গে এখনও জামায়াতের লোকজনের সখ্য ও ব্যবসা বাণিজ্যও রয়েছে। সখ্য থাকার সুবাদে শিবির ও তাদের লেবাসে থাকা জঙ্গীরা নিরাপদেই এলাকাটিতে অবস্থান করছে। তাদের চেনারও উপায় নেই। বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা না ঘটলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন যায় না। কারণ নৌকা ছাড়া যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। বর্তমান চেয়ারম্যান নিয়মিত এলাকায় থাকেন না। তিনি অধিকাংশ সময়ই ঢাকায় থাকেন। এমন সুযোগে চেয়ারম্যানের সহযোগীদের সহায়তায় আস্তে আস্তে শিবির সেখানে ঘাঁটি গেড়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির নেতা থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের সমস্ত কার্যক্রম জোরর্প্বূক বন্ধ করে রেখেছিলেন চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খান। ১৯৯৭ সালের ৬ জুলাই কাউন্দিয়া কৃষক লীগ সমাবেশের আয়োজন করে। ওই সময় সাইফুল আলম খানসহ ২০/২৫ জন বন্দুক দিয়ে গুলি চালিয়ে সমাবেশ প- করে দেন। সে সময় গুলিতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছিলেন। যাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। এ ব্যাপারে সাইফুল আলম খানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা হয়। তার বিরুদ্ধে র‌্যাবের দুই গোয়েন্দা সদস্যকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ওই অভিযোগে ২০১০ সালের মে মাসে সাইফুল আলম খান দুই সঙ্গীসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। মে মাসেই খাল দখলের সময় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালানোর দায়ে সাইফুল আলম খানসহ ১৯ জন র‌্যাব-৪ এর হাতে আটক হয়েছিলেন। তাকে জেলও খাটতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি মামলা বর্তমানে ঢাকার পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টেগেশন) তদন্ত করছে বলে সাভার মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে। এসব বিষয়ে মোবাইল ফোনে সাইফুল আলম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এক সময় তিনি বিএনপি করতেন। কিন্তু বর্তমানে আওয়ামী লীগ করেন। তিনি আওয়ামী লীগ করায় এলাকায় আওয়ামী লীগের আধিপত্য কায়েম হয়েছে। তার পরিবারের দুজন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তিনি কখনোই জামায়াত-শিবিরকে আশ্রয় প্রশয় দেন না। তবে তার অগোচরে জামায়াত-শিবির যদি তার এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকে সেটি খুঁজে বের করা কঠিন। তারপরেও তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন। যদি কেউ তার এলাকায় অবস্থান করে নাশকতামূলক কর্মকা-ের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে তাকে খুঁজে বের করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোর্পদ করা হবে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, আমিনবাজার, বড়দেশী ও কাউন্দিয়াসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে ঢাকায় নাশকতা চালাচ্ছে জামায়াত। সেই নাশকতার ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২২ অক্টোবর দিবাগত রাত ৯টার দিকে গাবতলী আমিনবাজার ব্রিজের ঢালে চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকালে দারুসসালাম থানার এএসআই ইব্রাহিম মোল্লাকে (৪০) এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে শিবির। হত্যাকা-ের পর পালানোর সময় পুলিশ ও জনতা বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলা শিবিরের সাথী মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করে। তার তথ্যমতে, ওই রাতেই রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থেকে ৫টি হ্যান্ডগ্রেনেডসহ জামায়াত নেতা আব্দুল আজিজ মিয়া ও তার দুই ছেলে শিবির কর্মী ফজলে রাব্বী ও রাকিব হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৫টি হ্যান্ডগ্রেনেড উদ্ধার হয়। উদ্ধারকৃত হ্যান্ডগ্রেনেডগুলো গত বছরের ২৩ অক্টোবর হোসেনী দালানে গ্রেনেড হামলায় ২ জনের মৃত্যু ও দেড় শতাধিক মানুষকে আহত করার ঘটনায় ব্যবহৃত হ্যান্ডগ্রেনেডের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে। উদ্ধারকৃত গ্রেনেডগুলোও তাজিয়া মিছিলের মতো বড় ধরনের নাশকতায় ব্যবহারের কথা ছিল। মাসুদ রানা আরও জানায়, পুলিশ কর্মকর্তা হত্যাকারী কামাল বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি। এসব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ২১ মার্চ কল্যাণপুর থেকে আবদুর রাজ্জাক উমায়ের, ফয়সাল আহম্মেদ, আহমেদ ফজল আকবর ও আবু নাঈম মোহাম্মদ জাকারিয়া নামে চার জঙ্গী গ্রেফতার হয়। তাদের কাছ থেকে জঙ্গীবাদের নানা ধরনের বইপুস্তক ছাড়াও অন্যান্য আলামত উদ্ধার হয়। তাদের দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি পুলিশ। রিমান্ডের বরাত দিয়ে ডিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, গ্রেফতারকৃতরা ঢাকার আশপাশে বিভিন্ন সময় সাভারের গাবতলী, আমিনবাজার, কাউন্দিয়া, পোস্তাগোলা, কামরাঙ্গীরচরসহ এলাকায় বসবাস করত। মূলত তারা ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করত। এটি তাদের গ্রেফতার এড়ানোর কৌশল। তারা স্থানীয়ভাবে বিএনপি, জামায়াত-শিবির ও এসব দল থেকে সরকারী দলে যোগ দেয়া অনেক প্রভাবশালীদের আশ্রয়-প্রশয় পাচ্ছে। অনেক সময় টাকার জোরে এরা আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে। এটিও তাদের গ্রেফতার এড়ানোর কৌশল। গ্রেফতারকৃতদের সহযোগীরাও ঢাকার চারদিকের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে। চলতি মাসের শেষ দিকে ঢাকায় বড় ধরনের নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। এজন্য তারা ঢাকার চারদিকে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল। গ্রেফতারকৃত চার জঙ্গীর বিষয়ে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকায় নাশকতা চালিয়েই তাদের আশপাশের এলাকায় আত্মগোপনে চলে যাওয়ার কথা ছিল। ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে তাদের নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল। গ্রেফতারকৃতরা এক প্রবাসীর অর্থায়নে ঢাকার আশপাশে অবস্থান নিয়ে সংগঠিত হচ্ছিল। ডিবির দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানিয়েছেন, কল্যাণপুর থেকে গ্রেফতারকৃতদের চার সহযোগী জঙ্গী বিভিন্ন সময় আমিনবাজার, বড়দেশী, কাউন্দিয়া, সাভারসহ রাজধানীর আশপাশের সুবিধাজনক জায়গায় থাকত। গ্রেফতারকৃতদের চার সহযোগীর অমর একুশে বইমেলায় নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে ওই চার জঙ্গী গ্রেফতার হয়। দুটি গ্রুপই প্রবাসী শেখ সোহান সাদ ওরফে বারা আবদুল্লাহর নেতৃত্বে নাশকতার উদ্দেশে সদস্য ও অর্থ সংগ্রহ করছিল। তাদের দলনেতা এক সময় নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জামায়া’তুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) সঙ্গে জড়িত ছিল। গ্রেফতারকৃতদের ঢাকার একজন এ্যাডভোকেট এবং ঢাকার বাইরে একজন পীরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। ওই পীর শীরক করে বলে গ্রেফতারকৃত জঙ্গীদের দাবি। গ্রেফতারকৃতরা যাকে টার্গেট করে, তাকে আগ থেকে হুমকি দেয় না। এটি তাদের নতুন কৌশল। ডিবির একজন উর্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঢাকার বাসিন্দাদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর পর পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। অনেক জামায়াত-শিবির ও জঙ্গী ঢাকা ছেড়েছে। তারা আশ্রয় নিয়েছে ঢাকার আশপাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে সাভারের আমিন বাজার, বড়দেশী, কাউন্দিয়া, আশুলিয়া, চক্রবর্তী, বাইপাইল, কামরাঙ্গীরচর, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, শনির আখড়া, ডেমরা, সানারপাড়, ভাঙ্গাপ্রেস ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা। এসব এলাকায় গার্মেন্টস থেকে শুরু করে প্রচুর মিল কারখানা রয়েছে। এজন্য স্বাভাবিক কারণেই এসব এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ। এজন্য অপরাধীরা এসব এলাকায় আশ্রয় নিচ্ছে। এলাকাগুলো থেকে প্রকৃত অপরাধীদের খোঁজে বের করা কঠিন। রাজধানীর চারদিকের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অপরাধীরা আত্মগোপন করার বিষয়টি পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আগেই আলোচিত হয়েছে। এজন্য রাজধানীর নাগরিকদের ডাটাবেজ তৈরির পাশাপাশি ঢাকা ও গাজীপুর জেলার নাগরিকদের ডাটাবেজ তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে তাতে সম্মতি দিয়েছে। রাজধানীর পর সবার আগে ঢাকা জেলার সাভারের জনগণের ডাটাবেজ তৈরির কথা রয়েছে। কম্পিউটার প্রোগ্রামটি সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। পুলিশ সদর দফতরের তরফ থেকে সারাদেশে চলমান অভিযান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের আগে ও পরে জোরদার করার কথা বলা হয়েছে। ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, রাজধানীতে বিশেষ অভিযান চলছে। যুদ্ধাপরাধ মামলায় ফাঁসির দ-াদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমিরের ফাঁসি কার্যকর উপলক্ষে অভিযান আরও জোরদার করা হবে। র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, ঢাকাসহ তার আশপাশ ছাড়াও সারাদেশে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নিজামীর রায় কার্যকর উপলক্ষে যেকোন ধরনের অরাজক পরিস্থিতি এড়াতে র‌্যাবের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
×