ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে ইঞ্জিনচালিত রিক্সার লাগামহীন গতি

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২৬ মার্চ ২০১৬

যশোরে ইঞ্জিনচালিত রিক্সার লাগামহীন গতি

সাজেদ রহমান, যশোর অফিস ॥ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও যশোরে আবারও লাগামহীনভাবে চলাচল শুরু করেছে ব্যাটারিচালিত রিক্সা। যার ফলে একদিকে যেমন শহরে বাড়ছে যানজট তেমনি বাড়ছে দুর্ঘটনাও। গত দুই সপ্তাহ ধরে সাধারণ পায়ে চালিত রিক্সার চেয়ে শহরে যন্ত্রচালিত রিক্সার সংখ্যা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের উদাসীনতার কারণে প্রতিদিন এ সংখ্যা বাড়ছে। গত বছর যশোর শহরে ইঞ্জিনচালিত রিক্সার সংখ্যা বেড়ে যায়। দ্রুতগতিতে চললেও এর নিয়ন্ত্রণের ব্রেক ব্যবস্থা ভাল না হওয়ায় হরহামেশাই ঘটত দুর্ঘটনা। অবস্থা লাগামহীন হয়ে পড়ায় একপর্যায়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় বিষয়টি উপস্থাপিত হয়। ইঞ্জিন রিক্সা বন্ধে নির্দেশনাও দেয়া হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ইঞ্জিন রিক্সা চালক ও ইজিবাইক চালকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশের কঠোর অবস্থান ও ধারাবাহিক আটক অভিযানের কারণে শহরে কমে যায় ইঞ্জিনচালিত রিক্সার সংখ্যা। এ সময় অনেকে রিক্সার ইঞ্জিন খুলে আবারও প্যাডেলে চালানো শুরু করেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের উদাসীনতায় বাড়ায় আবারও শহরে বাড়তে শুরু করেছে ইঞ্জিনচালিত রিক্সার সংখ্যা। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনাও বাড়তে শুরু করেছে। শামীম হোসেন নামে এক কলেজছাত্র বলেন, পুলিশের অভিযানের কারণে গত কয়েক মাস ভালই ছিলাম। কিন্তু আবারও আগের মতো অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। ছন্দা ইসলাম নামে এক পথচারী জানান, প্রতিদিনই বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাই। এ জন্য বেশিরভাগ সময় রিক্সায় উঠতে হয়। কিন্তু ইঞ্জিন রিক্সায় উঠলে ভয়ে সময় কাটাতে হয়। উপায় না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়ে ইঞ্জিনচালিত রিক্সায় উঠছি। কারণ পুরো শহরই ইঞ্জিনচালিত রিক্সার দখলে। পঞ্চাশোর্ধ্ব রিক্সা চালক শরিফুল ইসলাম বলেন, অনেকটা বাধ্য হয়ে দুই মাস আগে তিনি রিক্সাতে মোটর লাগিয়েছেন। কেননা এতে তার কষ্ট কম হচ্ছে। রিক্সা চালক জসিম জানান, মাঝে মধ্যে একটু সমস্যায় পড়তে হয় গাড়ির ইঞ্জিনের জন্য। তবে পুলিশের হাতে কিছু টাকা গুজে দিলে অবৈধ গাড়ি আর অবৈধ থাকে না। টাকা না দিলে পুলিশ জরিমানা করে গাড়ি আটকে দেয় অনেক সময় মটরও খুলে নেয়। এ বিষয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ওলিউজ্জামান বলেন, নির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় পুলিশ তেমন কিছু করে উঠতে পারছে না। তাছাড়া এগুলো নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পৌর কর্তৃপক্ষের।
×