ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিশেষ নাটক ‘বিশ্বাসঘাতক’

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ২৫ মার্চ ২০১৬

বিশেষ নাটক ‘বিশ্বাসঘাতক’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আরটিভিতে আগামীকাল রাত ৮-২০ মিনিটে প্রচার হবে নাটক ‘বিশ্বাসঘাতক’। মেজবাহ উদ্দীন সুমনের রচনা ও হাবিব মাসুদের পরিচালায় নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তারিক আনাম খান, আফরান নিশো, প্রভা প্রমুখ। নাটকে দেখা যাবে, মুক্তিযুদ্ধ প্রায় শেষের পথে। সব রাজাকার পালিয়েছে। আত্মসমপর্র্ণ করেছেন পাকিস্তানী সৈন্যরা। ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিক। মধুপুর শহরে তুমুল যুদ্ধ হয়েছে রাজাকার-আর্মিদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের। পাকিস্তানীরা পরাজিত হয়ে পালিয়ে গেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাউখালী গ্রামের বধূ প্রভার কাছে এই ঘটনা মধুর মতো মনে হয়। তার স্বামী আফরান নিশো মুক্তিযোদ্ধাদের দলে। সে ফিরে আসবে। তার স্বামী ফিরে আসবে এই খুশিতে সে চাল কোটে। ঘরদোর পরিষ্কার করে। বাগানের পেছনের গোয়াল ঘরটা পরিষ্কার করতে গিয়ে সে দেখতে পায় সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে একজন ৪৫/৫০ বছরের পায়জামা পাঞ্জাবি পরা এক প্রৌঢ়। তার সারা শরীরে রক্ত আর রক্ত। ভয় পেয়ে যায় মহুয়া। চিৎকার করে সবাইকে ডাকবে নাকি কি করবে বুঝে পায় না। এদিকে ওই লোকের ধীরে ধীরে জ্ঞান ফিরে আসে পানি খেতে চায়। মহুয়া তাকে পানি খাওয়ায়। পানি খেয়ে কিছুটা সুস্থ হয়েই লোকটি মহুয়ার পায়ে পড়ে। তাকে বাঁচানোর জন্য আকুতি করে। তাকে ধরিয়ে দিতে নিষেধ করে। মহুয়াকে সে মা ডাকে। লোকটির কথায় মহুয়া বুঝতে পারে সে রাজাকার কমান্ডার ছিল, আর মধুপুর শহরে ছিল তার ক্যাম্প। মহুয়া কি করবে বুঝে না। লোকটি মহুয়াকে নানা প্রকার ইমোশনাল কথা বলে। তাকে মেয়ে ডাকে। তার নিজেরও এমন একটি মেয়ে আছে। তাকে দেখে তার মেয়ের কথা মনে পড়ে গেছে। সে যদি মরে যায় তো তার মেয়েকে দেখার কেউ থাকবে না। এমন নানা ধরনের ইমোশনাল কথায় মহুয়া ধীরে ধীরে গলে যায়। তারও তার বাবার কথা মনে পড়ে। তার বাবা আজকে বেঁচে নেই। সে কাউকে আর বলতে পারে না লোকটির কথা। এদিকে বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় উসমান। মহুয়ার আর খুশি দেখে কে! তার স্বামী ফিরে এসেছে সেই খুশিতে সে আত্মহারা। এর মধ্যে স্বামী এসে জানায় দেশ প্রায় স্বাধীন হওয়ার পথে। কিন্তু মনে মনে প্রমাদ গুনে গ্রাম্য বধূ। কারণ বাড়ির পেছনে ভাঙ্গাবাড়িতে সে তো তার বাবার মতো তারিক আনাম কে রেখেছে।
×