ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন ১৫ ব্যক্তি ও নৌ-বাহিনী

প্রকাশিত: ১৯:৪৫, ২৪ মার্চ ২০১৬

স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন ১৫ ব্যক্তি ও নৌ-বাহিনী

অনলাইন রিপোর্টার॥ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবময় ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি সংস্থাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার ২০১৬ প্রদান করা হলো। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব পুরস্কার তুলে দেন। এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন, ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে কাজ করার সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কাজ করতে পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগকারী ও মুক্তিযুদ্ধকালে বিদেশে জনমত তৈরির জন্য সংগঠক হিসেবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এম ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, সফল রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট সমাজকর্মী মরহুম মৌলভী আচমত আলী খান (মরণোত্তর), দেশের স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠন প্রক্রিয়ায় বিশেষ ভূমিকা পালনকারী এফ-৬ সুপারসনিক বিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) বদরুল আলম বীরোত্তম। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- ১৯৭১ সালে রাজশাহী পুলিশ লাইনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর হামলার প্রতিরোধে পুলিশ বাহিনী গঠনকারী রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার শহীদ শাহ আবদুল মজিদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে নেতৃত্ব দানকালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণকারী রাঙ্গামাটির মহকুমা প্রশাসক এম আবদুল আলী (মরণোত্তর), ১৯৭১ সালে হাতে বাংলাদেশের সংবিধান লেখক ও লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশনে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগকারী মরহুম এ কে এম আবদুর রউফ (মরণোত্তর), ১৯৭১ সালে দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগকারী ও দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রথম মিশন প্রতিষ্ঠাকারী মরহুম কে এম শিহাব উদ্দিন (মরণোত্তর) এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সংগঠনে বিশেষ ভূমিকা পালনকারী সৈয়দ হাসান ইমাম। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির স্বীকৃতি লাভের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য মরহুম রফিকুল ইসলাম (মরণোত্তর) ও আবদুস সালাম পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে আরও রয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তোষা ও স্থানীয় জাতের পাটের জেনোম সিকুয়েন্স আবিস্কারের জন্য কৃষি গবেষক মরহুম অধ্যাপক মাকসুদুল আলম (মরণোত্তর) এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ রাফি খান (এমআর খান)। সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে কাজের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কবি নির্মলেন্দু গুণ এবং রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী ও গবেষক রেজোয়ানা চৌধুরী বন্যা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান এবং দেশের সমুদ্রসীমার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় নিরলস প্রয়াস চালানোর জন্য বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, দুই লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৌ-বাহিনীর প্রধান বাহিনীর পক্ষে ভাইস অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং অন্যরা স্ব স্ব পুরস্কার গ্রহণ করেন। মরণোত্তর পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে মরহুম মৌলভী আচমত আলী খানের পক্ষে তার ছেলে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, শহীদ শাহ আবদুল মজিদের পক্ষে তার ছেলে মামুন মাহমুদ শাহ, শহীদ এম আবদুল আলীর পক্ষে তার মেয়ে নাজমা আক্তার লিলি, মরহুম এ কে এম আবদুর রউফের পক্ষে তার স্ত্রী শাহানারা রউফ, মরহুম কে এম শিহাব উদ্দিনের পক্ষে তার ভাই ডা. কে এম ফরিদউদ্দিন, মরহুম রফিকুল ইসলামের পক্ষে তার স্ত্রী দিলরাজ বুলি ইসলাম এবং মরহুম অধ্যাপক মাকসুদুল আলমের পক্ষে তার স্ত্রী রাফিয়া হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করেন।
×