ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩৪ নং ওয়ার্ডে জনতার মুখোমুখি মেয়র

পয়ঃবর্জ্য মিশ্রিত পানির জন্য ওয়াসাকে দুষলেন সাঈদ খোকন

প্রকাশিত: ০৭:১২, ২৪ মার্চ ২০১৬

পয়ঃবর্জ্য মিশ্রিত পানির জন্য ওয়াসাকে দুষলেন সাঈদ খোকন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা ওয়াটার এ্যান্ড স্যুয়ারেজ অথরিটির (ওয়াসা) ব্যর্থতার কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নাগরিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সব পানিতে পয়ঃবর্জ্যরে মিশ্রণ ঘটায় দুর্গন্ধে মানুষ খাবারের পানি পর্যন্ত পান করতে পারছে না। পয়ঃবর্জ্য এখন ড্রেন উপচে রাস্তায় পড়ছে। যার জন্য প্রতিদিনই নাগরিকদের অসংখ্য অভিযোগ শুনতে হচ্ছে। কিন্তু সমস্যাটি ওয়াসার। তাই নাগরিক সেবা প্রদানে ব্যর্থতার জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত । এর কোন বিকল্প নেই বলে সরকারের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এছাড়া আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে ৩৪ নং ওয়ার্ডকে মাদকমুক্ত করতে বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন তিনি বুধবার রাজধানীর সুরিটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ‘নাগরিকদের মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি’ শীর্ষক সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন। এর আগে মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলর জনগণের মুখোমুখি হয়ে মঞ্চে বসেন। মেয়র নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, এতদিন আপনারা শুনেছেন আমরা বলেছি। এবার সমস্যার কথা আপনারা বলবেন আমরা শুনব ও উত্তর দেব। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার মীর সামীর, পুলিশের লালবাগ জোনের ডিসি মফিজ উদ্দীন আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন রকিবুল ইসলাম ভুইয়া, প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা জাকির হোসেন, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেনসহ কর্পোরেশনের উর্ধতন কমকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সরাসরি নাগরিকদের কাছ থেকে অভিযোগ শুনে সম্ভব হলে সংশ্লিষ্টদের দিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই সমস্যার সমাধান করা হবে। অন্যথায় নির্দিষ্ট সময় নিয়ে সমস্যা দূর করা হবে। কেউ অভিযোগ দিয়ে কোন সমস্যার সমাধান না হলে আমার নগর ভবনের দরজা আপনাদের জন্য সবসময়ই খোলা। আমার কাছে যাবেন অভিযোগ নিয়ে। আমি নিজে সমাধান করব। প্রশ্নোত্তর পর্বে স্থানীয় এক নাগরিক ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, আমাদের এলাকায় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশে রাত বারোটার পর ব্যবসায়ীদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মাদক ব্যবসায়ী ও নেশাখোরদের চলাচলে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। মাদক ব্যবসায়ী ও নেশাখোরদের কারণে আজ এলাকার যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে। প্রতিদিনই চুরি, ছিনতাই হচ্ছে এ বিষয়ে পরিপূর্ণ সমাধান চাই। এ সময় মেয়র লালবাগের ডিসিকে ব্যবস্থা নিতে বললে ডিসি বলেন, আমরা প্রতিদিনই এলাকাবাসী ও সোর্সদের সহায়তায় প্রচুর পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করছি। এলাকাটিকে মাদকমুক্ত করতে বৃহস্পতিবার থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যেই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া কারও কাছে কোন তথ্য থাকলে তা গোপনে থানায় গিয়ে প্রদান করতে বা ফোন করে দেয়ার জন্য নাগিরকদের কাছে তিনি অনুরোধ করেন। কয়েকজন নাগরিক বলেন, সুরিটোলার মসজিদের পানিতে দুর্গন্ধ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুর্বলতা আর নাজিরাবাজারে স্যুয়ারেজের ময়লার কারণে দরজা জানালা বন্ধ করে মসজিদে নামাজ আদায় করতে হয়। মাদ্রাসায় ছাত্রদের ক্লাস করতে হয়। এলাকার ডিপ টিউবওয়েলটি নষ্ট হয়ে পরে আছে। এলাকার প্রায় প্রতিটি রাস্তায়ই সামান্য বর্ষায় ওয়াসার পয়ঃবর্জ্য উপচে রাস্তা সয়লাব হয়ে যায়।
×