ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ময়নাতদন্তের ভুল রিপোর্টে চিকিৎসকও আসামি

সিফাত হত্যায় স্বামী শ্বশুর শাশুড়িসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশীট

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ২৪ মার্চ ২০১৬

সিফাত হত্যায় স্বামী শ্বশুর শাশুড়িসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশীট

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর বহুল আলোচিত গৃহবধূ, রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাত হত্যার অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দেয়া হয়েছে। স্বামী, শ^শুর, শাশুড়ি ও এক চিকিৎসককে অভিযুক্ত করে বুধবার রাজশাহী চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আহমদ আলী। চার্জশীটে নিহত সিফাতের স্বামী মোহাম্মদ আসিফ ওরফে পিসলী, শ্বশুর এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন রমজান, শাশুড়ি নাজমুন নাহার নাজলী ছাড়াও প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডাক্তার জোবাইদুর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল এ মামলার নির্ধারিত দিনে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আহমদ আলী জানান, দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে প্রমাণ মিলেছে সিফাত আত্মহত্যা করেনি। তাকে যৌতুকের দাবিতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আঘাতজনিত কারণে সিফাতের মৃত্যু হয়। কিন্তু সিফাতের স্বামী আসিফ, শ্বশুর রমজান ও শাশুড়ি নাজলী আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায়। এছাড়াও প্রথম ময়নাতদন্তের চিকিৎসক জোবাইদুর রহমান আঘাতজনিত কারণে মৃত্যুর বিষয়টি গোপন করে আত্মহত্যার মিথ্যা প্রতিবেদন দেয়। কিন্তু রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে আঘাতজনিত কারণে সিফাতের মৃত্যু হয় বলে উল্লেখ করা হয়। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ মার্চ রাজশাহী নগরীর মহিষবাথান এলাকায় (সুখনীড়) শ্বশুর বাড়িতে মৃত্যু হয় গৃহবধূ ওয়াহিদা সিফাতের। ঘটনা পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন সিফাতের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। এরপর ২ এপ্রিল সিফাতের চাচা খন্দকার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে যৌতুকের দাবিতে সিফাতকে হত্যা করার অভিযোগে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা করেন। গত এক বছরে চার দফা তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের পর সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বুধবার আদালতে চাঞ্চল্যকর এ মামলার চার্জশীট আদালতে দাখিল করেন। আশুলিয়ায় কিশোরকে আটকিয়ে ছিনতাই, শরীরে ছ্যাঁকা নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ২৩ মার্চ ॥ আশুলিয়ায় সিগারেট আর গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে এক কিশোরকে। সারা শরীরে নির্যাতনের অবর্ণনীয় ক্ষত আর ব্যথা নিয়ে এ কিশোরকে ভর্তি করা হয়েছে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তার নাম সারোয়ার হোসেন মিষ্টু (১৭)। পেশায় তামা কাঁসার ব্যবসায়ী। সে সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কাইচর নয়াপাড়া গ্রামের মীর সালামের পুত্র। বুধবার সকালে বাসা থেকে বের হয়ে কাজে যাবার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে ধরে নেয়। মিষ্টু জানায়, এ সময় তার কাছে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে একটি বাসায় নিয়ে আটকে রেখে তার শরীরে সিগারেট আর গরম খুন্তির ছ্যাঁক দেয় দুর্বৃত্তরা। মিষ্টুর চাচা আওলাদ হোসেন জানান, স্থানীয় লোকজনের সাথে তাদের পরিবারে বিরোধ চলছিল। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে পরিবারের সদস্যদের শাসাতে দুর্বৃত্তরা ওই কিশোরকে এ নির্মম নির্যাতন করেছে।
×