ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মায়ানমারের মন্ত্রীসভায় অং সান সু চি’র নাম প্রস্তাব

প্রকাশিত: ১৯:১৩, ২২ মার্চ ২০১৬

মায়ানমারের মন্ত্রীসভায় অং সান সু চি’র নাম প্রস্তাব

অনলাইন ডেস্ক॥ মায়ানমারের ইউনিয়ন পার্লামন্টে ১৮ সদস্যের একটি মন্ত্রিসভার প্রস্তাব করেছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হতিন কিয়াও। এতে গত নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পাওয়া ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি’র নামও রয়েছে। আজ মঙ্গলবার হতিন কিয়াও এ নাম প্রস্তাব করেন। ইউনিয়ন পার্লামেন্ট স্পিকার ২৩ মার্চ সংসদ সদস্যদের কাছে এ ব্যাপারে প্রস্তাব উত্থাপন করবেন। এরপরই মন্ত্রিসভার প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে। আর কেবিনেটে নবগঠিত এ মন্ত্রিসভার সদস্যদের কার অবস্থান কি হবে, তা পরে সিদ্ধান্ত হবে। তবে এরই মধ্যে সু চিকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণলায়ের দায়িত্ব নিতে পারেন। তবে এ পদের দায়িত্ব নিতে হলে সংবিধান অনুযায়ী তাকে পার্লামেন্টের আসন ও দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। মায়ানমারের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ তোয়ে কিয়াও হলাইন এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, সু চি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবেন। এ পদের দায়িত্ব নিলে তাকে অধিকাংশ সময় নানা সফরে দেশের বাইরে থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পাকা করতে তাকে ব্যস্ত থাকতে হবে বেশি। এ কাজ করতে গেলে সরকার নিয়ন্ত্রণ করা তার পক্ষে বেশ কঠিনই হয়ে পড়বে। জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী দলের নেত্রী হওয়া সত্ত্বেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে সু চি মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। দেশটির ২০০৮ সালের সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী, বিদেশি কাউকে বিয়ে করলে বা সন্তানরা বিদেশি পাসপোর্টধারী হলে সেই ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না। সুচির দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার ব্যাপারে তিনি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় পড়ে গেছেন। তবে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালেই সুচি ঘোষণা দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হতে না পারলে, তার চেয়েও বড় কিছু হয়ে তিনি দেশ পরিচালনা করবেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালনের চেয়ে সু চি’র কাছে সবসময় বেশি প্রাধান্য পাবে দল ও দেশ নিয়ন্ত্রণ করা। কাজেই তিনি এমন কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবেন না, যা তার প্রধান উদ্দেশ্যকে ব্যহত করতে পারে। এর আগে, গত ১৫ মার্চ মায়ানমারের সংসদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এতে সু চি’র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হতিন কিয়াও জয় পান।
×