ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাসিনা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন, আশ্বস্ত করলেন ফখরুল

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২২ মার্চ ২০১৬

হাসিনা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন, আশ্বস্ত করলেন ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির কাউন্সিলে দেয়া দলের চেয়ারপার্সনের বক্তব্যকে প্রধানমন্ত্রী ও তার দলের নেতারা বিকৃত করে বিভ্রান্তকর অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আমরা আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করব। অর্থাৎ নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার থাকবে, সেই সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকবেন না। এটাই আমাদের আশা। অবশ্যই শেখ হাসিনা সেই নির্বাচনে অংশ নেবেন। সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে। এটাকে বিকৃত করে ভিন্নভাবে প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ধরনের অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। সোমবার পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আরও উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়া তাঁর বক্তব্যে যেটা বলেছিলেন সরাসরিই বলেছিলেন। এটা এইভাবে করলে ভাল হবে। আমরা আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করতে চাই। অর্থাৎ নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নিরপেক্ষ সরকার থাকবে। সেটাই আমাদের চাওয়া। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদার বক্তব্য বিকৃত করে এখন ভিন্নভাবে প্রচার করাকে জনগণ ও জনমতকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা ছাড়া বিএনপি অন্য কিছুই মনে করে না। খালেদার বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দল ও সরকারকে এহেন অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান। বলেন, বিএনপি আশা করেছিল বিএনপির কাউন্সিলকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানাবেন। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বেগবান করা জন্য একটা সফল সম্মেলন করেছি সেই প্রক্রিয়াকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাবেন। কিন্তু তা না করে উল্টো খালেদা জিয়ার একটি বক্তব্য দুঃখজনকভাবে বিকৃত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সরকারের মন্ত্রীরা বিএনপির চেয়ারপার্সনকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া, বের করে দেয়ার হুমকি দিয়ে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এগুলো শুধু প্রতিহিংসা আর রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট করে। তিনি বলেন, কাউন্সিলে খালেদা জিয়ার প্রস্তাব মেনে সরকার গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সব দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার উদ্যোগ নেবেন। একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশের মধ্যে মানুষ মতামত দিতে পারবে, ভোট প্রয়োগ করতে পারবে। সেই বিষয়টি সামনে নিয়ে চিন্তা করবেন। কীভাবে এটাকে সামনে নিয়ে যাওয়া যায়, সকল দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তারা সেই উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন সত্যিকার অর্থে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করতে চান। এ কারণে তিনি হিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপি প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারা তার এই আহ্বান গ্রহণ করবেন। আলাপ-আলোচনা সমঝোতার মাধ্যমে রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসন করবেন উল্লেখ করেন। গত শনিবার খালেদা জিয়ার শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়েই আগামী নির্বাচন হবে বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হাসিনাবিহীন নির্বাচন বলতে খালেদা জিয়া কী বোঝাতে চাচ্ছেন? ২১ আগস্টের মতো আবার গ্রেনেড হামলা বা কোন কিছু করে হত্যার পরিকল্পনা করছেন কি না সেটাই হচ্ছে আমার প্রশ্ন। এছাড়াও সরকারের মন্ত্রীরা খালেদা জিয়ার বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। অচিরেই নির্বাহী কমিটির নাম ঘোষণা ॥ সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল আরও উল্লেখ করেন দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অচিরেই নতুন নির্বাহী কমিটির নাম ঘোষণা করবেন। এই নিয়ে ভুল ব্যাখ্যার কোন অবকাশ নেই। এই এখতিয়ার কাউন্সিল তাকে দিয়েছে। কাউন্সিল তাকে ক্ষমতা দিয়েছে। বিএনপিতে যাদের দ্বিতীয় পদ আছে তারা পদত্যাগ করবে। জরুরী প্রয়োজনে চেয়ারপার্সন চাইলে যে কাউকে অতিরিক্ত পদে রাখতে পারেন। জরুরী প্রয়োজনে চেয়ারপার্সন ব্যতিক্রম কিছু করতে পারেন। ওই ক্ষমতাটাকে তাকে দেয়া হয়েছে।
×