ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লুটে নেয়া অর্থ জনগণকে ফেরত দেয়ার আহ্বান ওয়ার্কার্স পার্টির

প্রকাশিত: ০০:১৭, ২১ মার্চ ২০১৬

লুটে নেয়া অর্থ জনগণকে ফেরত দেয়ার আহ্বান ওয়ার্কার্স পার্টির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ব্যাংকিং সেক্টরে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, সর্বেশেষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা দুর্বলতার কারণে টাকা চুরি হয়ে যাওয়া জাতীর জন্য অশনি সংকেত বলে মনে করে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। সোমবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা এসব কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিভিন্ন সময়ে আর্থিক লুটপাটের বিরুদ্ধে বিশেষকরে হলমার্ক, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারী সম্পর্কে আমরা সুষ্ঠু বিচারের দাবী করেছিলাম এবং ইব্রাহীম খালেদ তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট এর ভিত্তিতে মূল হোতাদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবী জানিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমান অর্থমন্ত্রী নিজের দায় এড়িয়ে এবং রাজনীতির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে কোন সুনির্দিস্ট ব্যবস্থা নিলেন না। সর্বশেষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনার ইস্যুটিকে ঘিরে অর্থমন্ত্রী কাজের চেয়ে কথা বেশি বলছেন। প্রকারন্তরে নিজ দায় ঢাকার চেষ্টা করছেন। পত্র-পত্রিকার সাক্ষাৎকারে সেকথা স্পষ্টভাবে এসেছে। অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮০০ কোটি টাকা চুরির ঘটনায় ব্যংকের গভর্ণর ড. আতিউর রহমানকে পদত্যাগ করার কথা বলছেন অথচ হলমার্ক কেলেঙ্কারী ঘটনা ব্যাংকের ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনাকে তিনি কিছুই না বলে অভিহীত করেছেন, বিশ্বব্যাংক টাকা দেবে এই প্রতিশ্রুতিতে পদ্মা সেতুর কাজ ৬ মাস ঝুলে ছিল। নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা পরিস্কারভাবে মনে করি সাংবিধানিক বিধানমতে রাষ্ট্রীয় দায়-দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় আর্থিক ব্যবস্থার সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তার প্রধান দায়িত্ব অর্থমন্ত্রীর। অপরাধী চিহ্নিত করা হোক আমরা তা চাই। কিন্তু তার মানে এই নয় অর্থমন্ত্রী দায় এড়িয়ে অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে নিজের স্বার্থ রক্ষা করবেন। আমরা মনে করি যে কোন সভ্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এর দায় স্বীকার করে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ব্যাংকিং সেক্টরের আর্থিক দুর্নীতি লুটপাট এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সমাবেশে পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমরা সকল অন্যায়ের ন্যায় সঙ্গত বিচার চাই। পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, পলিটব্যুরো সদস্য কামরূল আহসান, পার্টি কেন্দ্রীয় বিকল্প সদস্য মোস্তফা আলমগীর রতন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় বিকল্প সদস্য সাব্বাহ আলী খান কলিন্স। সমাবেশে বক্তারা বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টর সহ সকল আর্থিক খাতে দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ এবং দক্ষ ও যোগ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার দাবী জানান। সমাবেশে ‘যুবক’ ‘ডেসটিনি ‘ইউনিপে-২’ সহ ফটকাবাজ কোম্পানীর লুটে নেয়া অর্থ ক্ষতিগ্রস্থ জনগণকে ফেরত দেয়ার আহ্বান জানান।
×