ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

নারীদের চেষ্টায় সংসারে সচ্ছলতা

তেত্রিশ গাভী চাষী পরিবারে ভাগ্যবদল

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২১ মার্চ ২০১৬

তেত্রিশ গাভী চাষী  পরিবারে ভাগ্যবদল

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২০ মার্চ ॥ ‘সংসার সুখের হয় নারীর গুণে’- এ ধারণা থেকেই হাওড়ের নারীরা সংসারে সচ্চলতা আনতে দিন-রাত স্বামীর সঙ্গে সমানতালে খেটে যাচ্ছেন। নিরক্ষর-অক্ষরজ্ঞান এসব নারীর অধিকাংশের পরিণত বয়সের আগেই বিয়ে হয়ে গেছে। বছর যেতে না যেতেই তাদের অভাবের সংসারে জন্ম নিয়েছে শিশুসন্তান। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়ে হতদরিদ্র পরিবারগুলো। কিন্তু কোনকিছুতেই তারা দমে যায়নি। গৃহস্থালি কাজের পাশাপাশি নারীরাই দিনমজুর স্বামীকে সংসার চালানোয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। জেলার নিকলী উপজেলার গুরুই ইউনিয়নের প্রত্যন্ত হাওড়ের সেতরা ও পাড়াবাজিতপুর গ্রামের হতদরিদ্র ৩৩ পরিবারের চিত্রই এমন। জানা যায়, হাওড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রায় পাঁচ মাস আগে পপি-রিকল প্রকল্প গুরুই ইউনিয়নের সেতরা ও পাড়াবাজিতপুর গ্রামে গাভী রাখার জায়গা রয়েছে এমন ৩৩ হতদরিদ্র পরিবারের নারীকে বেছে নেয়। পরে তাদের ‘সেতু বহুমুখী উন্নয়ন ও শতদল বহুমুখী উন্নয়ন’ নামে পৃথক দল গঠন করে গাভী ক্রয়ে প্রত্যেক নারীকে এককালীন ১৫ হাজার টাকা অনুদান দেয়। এ টাকা পেয়ে তারা আরও নিজেরা বাড়িয়ে প্রত্যেকে গাভী ক্রয় করে। এসব পশু রোগাক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য রয়েছে স্থানীয়ভাবে একজন পশু চিকিৎসক। সেতরা গ্রামের রহিমা বেগম ও জোসনা বেগম জানান, গাভী লালন পালন করে তাদের মতো অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। কিছুদিনের মধ্যে গাভীগুলো থেকে দুধ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করা যাবে। এর আয় দিয়েই সন্তানের পড়াশুনাসহ সংসারের ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে। রিকল প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোশারফ হোসেন খান জানান, প্রত্যন্ত হাওড়ের অবহেলিত নারীদের সংসারে সচ্চলতা আনতে বেছে বেছে গাভী ক্রয়ের জন্য নগদ টাকা দেয়া হয়েছে।
×