ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গোয়েটজে- হিরো থেকে জিরো

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ২০ মার্চ ২০১৬

গোয়েটজে- হিরো থেকে জিরো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বছর চার-পাঁচ আগে মারিও গোয়েটজেকে নিয়ে জার্মানিতে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে যায়। এ্যাটাকিং এই মিডফিল্ডারের মধ্যে ভবিষ্যতের ‘মেসি’র ছায়া খুঁজে পেয়েছিল জার্মান মিডিয়া। জার্মান বুন্দেসলিগায় ২০১২ সালে শিরোপা জয় করে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। ওই শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন গোয়েটজে। চোখ ধাঁধানো ধারাবাহিক নৈপুণ্যের কারণে চার বছর আগেই জার্মান দলের অন্যতম প্রধান ভরসা হয়ে উঠেন। শুধু তাই নয়, ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপেও শোয়াইনস্টাইগার, গোমেজ, মুলার, ওজিলদের মতো তারকার ভিড়ে জার্মান কোচ জোয়াকিম লোর তুরুপের তাস হন ২৩ বছর বয়সী গোয়েটজে। এরপরও ‘সুপার সাব’ হিসেবেই যেন নিজের নামটি প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন গোয়েটজে। তরুণ এই তারকা কি ক্লাব কি জাতীয় দল সবখানেই একই ভূমিকা রাখেন। ২০১৩ সালে মিউনিখে আসার পর বেয়ার্ন মিউনিখেও অন্য তারকদের ভিড়ে প্রথম একাদশে নামা হয় না খুব একটা। তবে বদলি হিসেবে নেমেও চিনিয়েছেন নিজের জাত। ধারাবাহিক গোল করে দলের জয়ে অবদান রেখেছেন। ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালেও আরেকবার সে স্বাক্ষর রাখেন। ৮৮ মিনিটে মিরোসøাভ ক্লোসার বদলি হিসেবে নেমে দৃষ্টিনন্দন গোল করে দেশকে দুই যুগ পর শিরোপা জিতিয়েছেন। অথচ সেই গোয়েটজের এখন নিদারুণ দুঃসময়। ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন ছিলেন মাঠের বাইরে। যে কারণে খেলতে পারে না বেয়ার্নের হয়ে। চলমান মৌসুমে লীগে সাত ম্যাচ খেলেছেন। এক মাস হয়ে গেল পুরোপুরি অনুশীলনে ফিরেছেন, তবু ফিরতে পারছেন না দলে। বেয়ার্নের সবশেষ পাঁচ ম্যাচে বেঞ্চে জায়গা হয়েছে প্রতিশ্রুতিশীল এই ফুটবলারের। এর মধ্যে ২০১৬ সালে খেলেছেন হাতে গোনা মিনিট। বেয়ার্ন কোচ পেপ গার্ডিওলারও তেমন আগ্রহ নেই তাকে নিয়ে। যে কারণে অনেকেই মনে করছেন- হিরো থেকে জিরো বনে গেছেন গোয়েটজে।
×